মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০

ইসলামে নারীর অধিকার

ইসলামে নারীর অধিকার নিয়ে প্রায় মুমিনরা গলা ফাটিয়ে চিল্লাতে চিল্লাতে বলতে থাকে, একমাত্র ইসলাম ই নারীদের অধিকার ও মর্যাদা দিয়েছে। ভাঙ্গা কেসেট এর মত এরা যাকে পাই বিশেষ করে হিন্দু মেয়ে পাইলে এইধরনের কথা প্রায় মুমিনদের থেকে শুনা যায়। কারন অনেকাংশে হিন্দুমেয়েরা ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ, আর তারা সেই দূর্বলতার সুযোগটা নেই, যাতে ইসলামের গুণকীর্তন করে ইসলামের নামে ভাল দিক প্রমান করতে পারে, আর তাতে অতি সহজে সেইসব হিন্দুমেয়েগুলো বিশ্বাস করতে থাকে। এভাবে একসময় হিন্দু মেয়েটা সেইসব মুমিনদের বিশ্বাস করে নিজের ধর্ম ত্যাগ করতে এরা পিছপা হয়না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এরা সঠিকটা বিবেচনা না করে অতি সহজে ধর্ম পরিবর্তন করে ফেলে, আর সেই কর্মের ফল হিসেবে পাই নির্যাতন ও ভোগ। কারন মুসলিমদের মতে, নারী হচ্ছে ভোগ্যপন্য। এই কথার প্রমান পাবেন নিচে।
ইসলাম মতে নারী হচ্ছে ভোগ্যপন্য, সেই সম্পর্কে কোরআনের ০৭ নং সুরা আরাফ, আয়াত ১৮৯ এখানে বলা হয়েছে,
"তিনিই তোমাদিগকে এক ব্যক্তি হইতে (আদমকে) সৃষ্টি করিয়াছেন ও উহা হইতে তাহার স্ত্রী (হাওয়াকে) সৃষ্টি করেন যাহাতে সে তাহার নিকট শান্তি পায়। অতঃপর যখন সে তাহার সহিত সংগত হয় তখন সে এক লঘু গর্ভধারণ করে এবং ইহা লইয়া সে অনায়াসে চলাফেরা করে। গর্ভ যখন গুরুভার হয় তখন তাহারা উভয়ে তাহাদের প্রতিপালক আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে, " যদি তুমি আমাদিগকে এক পূর্ণাংগ সন্তান দাও তবে তো আমরা কৃতজ্ঞ থাকিবই।"
উক্ত আয়াতে লক্ষ্য করুন বলা হচ্ছে, আদমের শান্তি ও আরাম আয়েশ জন্য হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর সেই শান্তি যে একমাত্র নারীদেরকে সেক্স মেশিন হিসেবে রাখা তা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। অর্থাৎ পুরুষদের মনোরঞ্জন ও শান্তির জন্য সেক্স মেশিন হিসেবে নারীদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে পুরুষদের ভোগের জন্য, এরপর ডজন ডজন বাচ্ছা জন্ম দেওয়া। মানে মুসলিম পুরুষদের কাছে মুসলিম নারীরা হলো শুধুমাত্র ভোগ্যপন্য বস্তু।
যখন এই আয়াতগুলো মুমিনদের বলবেন, তখন এদের কাছে পুরনো সেই ফতোয়া শুনতে পারবেন সেটা হলো, কোরআনে এইসব বলা নাই, কোরআন বুঝার জন্য তাফসীর পড়ার প্রয়োজন, আগে তাফসীর পড়ো। কিন্তু কোরআন এর (৫৪নং সুরা কামার, আয়াত ১৭) বলা হয়েছে, "আমি কোরানকে সহজ করে দিয়েছি বুঝার জন্য। অতএব কোন চিন্তাশীল আছে কি?
এই আয়াত অনুযায়ী আল্লার বক্তব্যে হচ্ছে, কোরানকে সহজে বুঝা যাবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আল্লার কথা সত্য? নাকি মুমিনদের ফতোয়া সত্য?
যাইহোক আমরা তাফসীর থেকেও এই আয়াতের ব্যাখ্যা দেখে নিই এখানে কি বলা আছে?
(ইসলামিয়া কুতুবখানা থেকে প্রকাশিত, তাফসীরে জালালাইন এর, দ্বিতীয় খন্ড, ৫২৬ পৃষ্ঠায়, প্রাসঙ্গিক আলোচনা; এখানে বলা আছে, তিনিই সেই আল্লাহ পাক, যিনি তোমাদের সকলকে একজন থেকে তথা আদি পিতা হযরত আদম (আ.) থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং আদি পিতা হযরত আদম (আ.) - এর শান্তির জন্য তাঁর জীবন সঙ্গিনী হযরত হাওয়া (আ.) - কেও আদম (আ.) - এর বাম পাঁজরের হাড় থেকে আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন। এরপর আল্লাহ পাকের কুদরতে, তাঁর মর্জিতে পিতামাতার মাধ্যমে মানুষের বংশ বৃদ্ধি হতে থাকে।
আমরা তাফসীরে জালালাইন থেকে দেখতেই পাচ্ছি, মুসলিম নারীরা হলো মুসলিম পুরুষদের কাছে শুধুমাত্র সেক্সমেশিন বা ভোগ্যপণ্য বস্তু। ইসলাম নারীদের অধিকার বলতেই, পুরুষদের প্রতি মনোরঞ্জন বা শান্তি প্রদান করা। আর এটার কারনে মুসলিম নারীদের সৃষ্টি করা হয়েছে। এই আয়াত এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে হাদিসেও বলা হয়েছে,
"মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবন নুমায়র আল-হামদানী (রঃ)... আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) সূত্রে বর্নিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুনিয়া উপভোগের উপকরন (ভোগ্যপন্য) এবং দুনিয়ার উত্তম উপভোগ্য উপকরন পুন্যবতী নারী।" (সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), হাদিস নাম্বার ৩৫১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত)
উক্ত হাদিসে আমরা দেখতেই পাচ্ছি, মুসলিম নারীরা হলো শুধুমাত্র ভোগ্যপণ্য বস্তু। আর এই কারনে মুসলিম পুরুষেরা যখন ইচ্ছা তাদের স্ত্রীদের অনুমতি ব্যতীত ভোগ করতে পারবে এতে নারীদের সম্মতির কোনো প্রয়োজন পড়বে না। যদি কোনো মহিলা এতে অসম্মতি জানায় তাহলে ফেরেশতাগন তাদেরকে ভোর পর্যন্ত অভিশাপ দিতে থাকবেই। তার মানে বাধ্যগত ভাবে মুসলিম নারীদের যেভাবেই হোক না কেন তাদের যৌনক্রিয়ার আশ্বাস মিঠিয়ে মুসলিম পুরুষদের শান্তি দিতেই হবে। কেননা মুসলিম নারীদেরকেই পুরুষদের জন্য সেক্স মেশিন হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে, তার প্রমান আবারও নিচের দুইটা হাদিস এ দেখুনঃ
"আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্নিত। নবী (স) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি নিজ স্ত্রীকে তার সাথে বিছানায় ডাকে আর স্ত্রী আসতে অস্বীকার করে, তবে ভোর পর্যন্ত ফেরেশতাগন তাকে অভিসম্পাত করতে থাকে।" (সহীহ আল বুখারী, হাদিস নাম্বার ৪৮১১, আধুনিক প্রকাশনী)
"আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্নিত। নবী (স) বলেনঃ যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীর শয্যা ছেড়ে অন্যত্র রাত যাপন করে, তবে সে স্বামীর শয্যায় ফিরে না আসা পর্যন্ত ফেরেশতাগন তাকে অভিসম্পাত করতে থাকে।" (সহীহ আল বুখারী, হাদিস নাম্বার ৪৮১২, আধুনিক প্রকাশনী)
সুতরাং উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটাই স্পষ্ট যে, ইসলাম মতে নারী হচ্ছে ভোগ্যপণ্য বস্তু। আর এই কারনে মুমিনরা এখন মুসলিম নারীদের পাশাপাশি অমুসলিম নারীদেরকেও ছাড়তে পিছপা হয়না এরা ঠিক শিয়াল এর মত ফাঁক পেতে বসে থাকে কিভাবে হিন্দুমেয়েদেরকে ইসলাম সম্পর্কে মিথ্যা গল্প শুনিয়ে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে ভোগ করবে। তাই সনাতনী মেয়েরা নিজেকে এখন থেকে সচেতনতা করার চেষ্টা করুন, নয়তো আল্লার বিধানগুলো আপনাকে মেনে নিয়ে হতে হবেই ভোগ্যপণ্য বস্তুর সেক্সমেশিন, পরিনামে নির্যাতন এবং পরবর্তীতে মৃত্যু। যা অসংখ্য হাজার হাজার অনেক হিন্দু মেয়ে সেই পরিনাম এর ফল পাচ্ছে যা আমরা অনলাইন ফেসবুক, ইউটিউবে দেখতেই পাচ্ছি যারা ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়ে হতে হচ্ছে নির্যাতিত ও শেষে আত্মহত্যা।
আশা করি সবাইকে বুঝাতে পেরেছি।
❤জয় হোক সনাতনের❤
💔জয় শ্রীরাম💔
from:Arjun kumar Das

শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০

জাকির নায়েক ও রবিশঙ্করের তথাকথিত বিতর্কের মূল রহস্যটা আসলে কী ?


জাকির নায়েকের চাপাতি টিভি, চাপাতি টিভি এজন্যই বললাম যে, জাকিরের টিভির নাম তো পিস টিভি, আর পিস মানে শান্তি, কিন্তু মুসলমানরা শান্তি বলতেই তো বোঝে তরোয়াল-চাপাতির মাধ্যমে অর্জিত শান্তি, এজন্যই বললাম চাপাতি টিভি।

এখানে একটা প্রশ্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, ইসলাম মানে যদি শান্তি হয়, তাহলে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বললে, মুসলমানরা ক্ষেপে যায় কেনো বা চাপাতি দিয়ে কোপাতে চায় কেনো ? কেনো ওরা শান্তি পূর্ণ পদ্ধতিতে আলোচনায় বসে না ? মুসলমানদের রাগ আর সন্ত্রাস কি এটা প্রমান করে যে, ওদের ধর্মের নাম বা ধর্মের বিষয় শান্তি ?

যা হোক, ফিরে যাই মুল আলোচনায়। জাকিরের পিস টিভিতে, রবিশঙ্কর এবং জাকির নায়েকের একটি একটা অনুষ্ঠান খুব ঘটা করে প্রচার করা হতো, যাতে রবিশঙ্কর পরাজিত নয়, বিব্রত হয়। আর এটা নিয়ে মুসলমানরা এটা প্রচার করে বা প্রমান করার চেষ্টা করে যে, যেহেতু রবিশঙ্কর জাকির নায়েকের কাছে পরাজিত হয়েছে, সেহেতু হিন্দুধর্মের চেয়ে ইসলাম শ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং হিন্দুদের উচিত, হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করে ফেলা।

যেসব হিন্দু বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে ভেবে দেখে নি, তারাও এই সংশয়ে থাকে যে, সত্যিই মনে হয়, ইসলাম, হিন্দুধর্মের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, না হলে রবিশঙ্কর জাকির নায়েকের কাছে পরাজিত হলো কেনো ?

প্রত্যেকটি মুসলমানের আজীবনের একটি লালিত স্বপ্ন হলো- কোনো একজন অমুসলিমকে মুসলমান বানানো, তাহলে তারা নাকি বিনা বিচারে বেহেশতে যেতে পারবে। আর বেহেশতে গিয়ে তাদের একমাত্র কাজ হলো ৭২ হুর নিয়ে যৌনলীলায় মেতে থাকা, যদিও মেয়েদের জন্য এরকম কোনো ব্যবস্থা নেই এবং এই একটি কারণেই মুসলমানরা প্রাণপাত করে ইসলাম পালন করে, বোঝেন ইসলাম কত মহান ধর্ম!

যা হোক, জাকিরের এই পিস টিভি খোলার পেছনে উদ্দেশ্যও ছিলো এই এক, ইসলাম প্রচারের আড়ালে ধর্মান্তর করা; এখন যেহেতু ঘাড়ে তলোয়ার ধরে বলার যুগ নাই যে ইসলাম গ্রহণ কর, না হলে মৃত্যু; তাই মুসলমানরা বেছে নিয়েছে ব্রেইন ওয়াশ থিয়োরি, এতে বছরে যদি একজন করেও অমুসলিম ধোকায় প’ড়ে বিভ্রান্ত হ’য়ে, ইসলাম গ্রহন করে, তবুও তো ইসলামের লাভ।

জাকিরের কাজ যেহেতু ভারতীয় উপমহাদেশে এবং এখানকার বেশিরভাগ মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী, তাই জাকিরের টার্গেট হলো হিন্দুরা এবং হিন্দুদের ব্রেইন ওয়াশের জন্য তার থিয়োরি হলো- কল্কি অবতারই মুহম্মদ, বেদ পুরানে আল্লা মুহম্মদের নাম আছে, রবিশঙ্করের ডিবেট, ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।

“কল্কি অবতার ই মুহম্মদ” এবং “বেদ পুরানে আল্লা মুহম্মদ” বিষয়ে আমার আলাদা দুটি পোস্ট আছে, তাই আজকে শুধু রবিশঙ্করের ডিবেট নিয়েই কথা বলবো।

ভারত এবং ভারতের বাইরে শত শত মানুষ জাকিরকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছে, তাদের সাথে তর্ক বির্তকে বসার জন্য, জাকির তাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহন করে নি। কিন্তু কেনো ? তার ভয় কিসের ?
আমি যদি সত্য হই, পৃথিবীর সকল জায়গাতেই আমি নিজেকে সত্য বলে প্রমান করতে পারবো; তাহলে সকলের চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে আমার অসুবিধা কোথায় ? আমি তো আমার অনেক পোস্টে খোলা খুলি এই চ্যালেঞ্জ দিই যে, আমার পোস্টের জবাব কেউ যদি যুক্তিসঙ্গতভাবে দিতে পারে আমি ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে যাবো, কেউ তো আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহন করে না। আমি এই চ্যালেঞ্জ দিতে পারি, কারণ, আমি জানি সত্যটা কী এবং তা কোথায় ? তাহলে জাকির, সকলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে না কেনো ?

অনেকে আমাকে জাকিরের সাথে ডিবেটে যেতে বলে, কিন্তু মুসলমানরা যেহেতু হিংস্র জাতি এবং যেহেতু তারা ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো যুক্তি বোঝে না বা তা মেনে নিতে পারে না বা শুনতেই চায় না, তাই মুসলমানদের সাথে তর্কে জেতা অসম্ভব; যদিও বা আপনি কাউকে তর্কে পরাজিত করেন, সে সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতে, নবীর নামে কটূক্তি করেছে ব’লে আপনার উপর চাপাতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে বা দল বল নিয়ে এসে আপনার বাড়িতে হামলা করবে বা বাড়ি জ্বালিয়ে দেবে বা গ্রাম জ্বালিয়ে দেবে। ফলে শেষ পর্যন্ত জয় হবে মুসলমানদেরই। তাই মুসলমানদের সাথে ফেস টু ফেস বিতর্কে যাওয়া অসম্ভব; কারণ, আপনি যত বড়ই জ্ঞানী বা শক্তিশালী হোন না কেনো, আপনাকে এটা মাথায় রাখতে হবে যে, একজন মূর্খ মুসলমানের একটি চাপাতির কাছে আপনি অসহায়, যেটা আমি সব সময় মাথায় রাখি।

উপরের এই পদ্ধতির জন্য, ইন্টারনেট আবিষ্কারের আগে পর্যন্ত মুসলমানদের প্রচার ছিলো একতরফা; কারণ, তারা যা বলেছে, তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার কোনো উপায় ছিলো না। শেষ পর্যন্ত ইন্টারনেট এবং ফেসবুক, সেই দুঃসহ অবস্থা থেকে পৃথিবীর মানুষকে মুক্তি দিয়েছে। মুসলমানরা মাঝে মাঝেই ইসলামের বিরুদ্ধে ইহুদি নাসারাদের ষড়যন্ত্রের কথা বলে, যদি ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের কোনো ষড়যন্ত্র থেকেই থাকে, তা হলো এই ইন্টারনেট এবং ফেসবুক আবিষ্কার এবং আমার হিসেবে এটাই হলো ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের সবচেয়ে বড় যড়যন্ত্র; যার মজা এখন মুসলমানরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।

আমি এত ইসলামের বিরুদ্ধে লিখি এবং মুসলমানদের চ্যালেঞ্জ দিই সেগুলোর জবাব দিয়ে আমাকে মুসলমান বানানোর জন্য, কিন্তু এখন পর্যন্ত এক হারামজাদাও আমাকে মুসলমান বানানোর জন্য জবাব দিতে এগিয়ে এলো না, যোগ্য জবাবের পরিবর্তে তারা যা দেয় তা হলো ইনবক্সে বা কমেন্টে গালি গালাজ; যেগুলোকে আমি রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুরের ঘেউ ঘেউ বলেই মনে করি এবং যেগুলোকে আমি আমার বাল দিয়েও গুরুত্ব দিই না।

যা হোক, ইউটিউবে একটি ভিডিও পাওয়া যায়, ৫ মিনিটে ২৫ মিথ্যা নামে, এতে জাকির নায়েকের একটি ৫ মিনিটের বক্তব্যে, সে যে ২৫ টি মিথ্যে তত্ত্ব দিয়েছে, সেই পোস্টমর্টেম করা হয়েছে। এরা জাকির নায়েককে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলো, তাদের সাথে বিতর্ক করার জন্য, কিন্তু জাকির তা গ্রহণ না করায়, তারা ওর ঐ বক্তব্যের পোস্টমর্টেম করে ইউটিউবে ছাড়ে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, জাকিরের এত চ্যালেঞ্জকারী থাকতে সবাইকে বাদ দিয়ে জাকির তার টিভিতে রবিশঙ্করক নিয়ে এলো কেনো ? রবিশঙ্কর যে জাকিরকে কোনো দিন চ্যালেঞ্জ করেছিলো, এমন কি কেউ কোনোদিন শুনেছেন ? শুনেন নি। তাহলে পিসটিভিতে রবিশঙ্কর কেনো ?

বাংলাদেশে অনেক ব্যক্তিমালিকানাধীন টিভি চ্যানেল আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত মালিক হচ্ছে, এটিএন বাংলার মালিক মাহফুজুর রহমান। অন্য চ্যানেলগুলোর মালিক কে বা কারা এটা দেশের ৯৫% মানুষ না জানলেও, দেশের ৯৫% মানুষ, যারা নিয়মিত টিভি দেখে, তারা জানে যে, এটিএন বাংলার মালিক মাহফুজুর রহমান। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই মাহফুজুর রহমান, তার চ্যানেলে কি এমন কোনো অনুষ্ঠান দেখাবে, যাতে তার ইমেজ খারাপ হয় ? আপনাদের কমনসেন্স কী বলে, দেখাবে ? দেখাবে না ? তাহলে জাকির নায়েক, তার নিজস্ব টিভি চ্যানেলে এমন কোনো প্রোগ্রাম কেনো দেখাবে, যাতে সে কারো কাছ পরাজিত হয় ?

তাছাড়া পিস টিভিতে বিতর্কমূলক কোনো অনুষ্ঠান কিন্তু লাইভ দেখানো হয় না; তার মানে, এডিট করে, কেটে ছেঁটে সে সব অনুষ্ঠানই দেখানো হয়, যাতে জাকির নায়েকের মান বজায় থাকে এবং সে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ই দেখানো হয়, যাতে জাকিরের জবাব যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হয়। পিস টিভিতে রবিশঙ্করের অনুষ্ঠান দেখানো হয়েছে এজন্যই যে, সেই অনুষ্ঠানে রবিশঙ্কর আপাতদৃষ্টিতে পরাজিত হয়েছে, যদি জাকির নায়েক পরাজিত হতো, তাহলে সেটা কি তারা দেখিয়ে ইসলামের বারোটা বাজাতো ? এই ব্যাপারটি পরিষ্কারভাবে বোঝে না বলেই অনেক হিন্দু রবিশঙ্করের ব্যাপারটি নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগে এবং তাদের মনে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে সন্দেহের সৃষ্টি হয়, হিন্দুদের মনে যে সন্দেহটি সৃষ্টি করা শুধু জাকির নায়েক কেনো, সব মুসলমানদের মরণপণ জিহাদী উদ্দেশ্য।
তাছাড়া, কে এই রবিশঙ্কর ? সে কি হিন্দুদের মনোনীত কোনো ব্যক্তি, যাকে হিন্দুরা জাকিরের সাথে ডিবেট করতে পাঠিয়েছে ? দেখে নিন উইকিপিডিয়াতে তার সম্পর্কে কী বলা হয়েছে ?

“রবি শঙ্কর, যিনি সাধারণত শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর নামে পরিচিত, হলেন ভারতের একজন আধ্যাত্মিক নেতা যিনি ১৩ মে ১৯৫৬ সালে তামিলনাড়ুতে জন্মগ্রহণ করেন। তাকে শ্রী শ্রী উপাধিতে বা গুরুদেব বা গুরুজি নামেও ডাকা হয়। ১৯৮১ সালে তিনি আর্ট অব লিভিং ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন, যার মূল লক্ষ্য হল মানুষের ব্যক্তিগত মনোদৈহিক চাপ, সামাজিক সমস্যা এবং সহিংসতা দূর করা।“

এছাড়াও Art of living পৃথিবীর বৃহত্তম একটি "হিউমেনিটারিয়ান & এডুকেশনাল এনজিও" এর প্রতিষ্ঠাতা রবিশঙ্কর একজন যোগ বিশেষজ্ঞ এবং পতঞ্জলি যোগসূত্র দ্বারা উদ্বুদ্ধ একজন দার্শনিক নেতা। বজ্রাসন ও সুখাসন এর মাধ্যমে কৃত সূদর্শন ক্রিয়া এর একজন অনন্য পরিচালক তিনি যার মাধ্যমে তিনি পৃথিবীতে বিদ্যমান হানাহানি ও মূল্যবোধের অবক্ষয় এর অবসান ঘটাতে চান। তিনি কখনোই একজন হিন্দুধর্ম বিশারদ নন এবং একজন বেদজ্ঞানী তো নন বটেই!

যার উদ্দেশ্যই হলো পৃথিবীর হানাহানি বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, সে যাবে জাকিরের সাথে তর্ক বিতর্ক করতে! যেখানে তর্ক বিতর্কই হলো সকল অশান্তির মূল ? এছাড়াও এই তথ্যগুলো থেকে কি এটা প্রমান হচ্ছে যে, তিনি হিন্দুদের কোনো ধর্মগুরু ? তাহলে তার জয় বা পরাজয় নিয়ে হিন্দুদের এত মনোব্যথার কী আছে ?

এবার দেখুন, কোন প্রেক্ষাপটে জাকিরের পিস টিভি সেই ভিডিওটি তৈরি করেছিলো ?
রবিশঙ্কর যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলো, সেটা ছিলো "Concept of GOD in Hinduism & Islam" শীর্ষক একটি আলোচনা সভা, এটা মোটেই পূর্ব ঘোষিত কোনো বিতর্ক সভা নয়। রবিশঙ্কর সেখানে গিয়েছিলেন নিজে থেকেই কোনো হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন বা হিন্দুদের পক্ষ থেকে নয়। কিন্তু ধূর্ত জাকির পুর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী সেখানে কাদিয়ানী লেখক মাওলানা আব্দুল্লা হক বিদ্যার্থীর বই থেকে হুবহু তোতা পাখির মতো কিছু মুখস্ত উদ্ধৃতি দেয় যে পবিত্র বেদ এ মোহাম্মদ এর কথা বলা আছে এবং ভবিষ্য পুরানেও মোহাম্মদ এর কথা বলা আছে। একজন ব্যক্তি যিনি কোনো বিতর্কের জন্য প্রস্তুত হয়ে যান নি বা তার সেই বিষয় নিয়ে বিতর্ক করার ইচ্ছা আছে কিনা সেটাও সন্দেহ, তাকে হঠাৎ করে বেদের খুঁটি নাটি বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে বিব্রত হবে না তো কী হবে ?

ধান্ধাবাজ জাকিরের এই ভিডিও নিয়ে মুসলমানরা জোর গলায় বলে,

“জাকির নায়েক তো হিন্দুদের গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর এর সাথে বিতর্ক করেছে এবং জয়লাভ করেছে। রবিশঙ্কর তো আপনাদের চেয়ে বেশী জানেন। উনি যখন জাকির নায়েকের ভূল দেখাতে পারেনি তো আপনারা কে ?”

জাকির নায়েক, রবিশঙ্করের সাথে কী ধরণের তর্ক বিতর্ক করেছে এবং কোন সিচুয়েশনে করেছে, আশা করছি, উপরের বর্ণণায় তা বুঝতে পেরেছেন, তাই এটা নিয়ে আর বলার কিছু নেই।

এরপর মুসলমানদের তথ্য হলো-

“রবিশঙ্কর তো আপনাদের চেয়ে বেশি জানেন।”

রবিশঙ্কর কতটা জানে, সেটা আপনারা সার্টিফিকেট দিচ্ছেন কেনো ? আপনাদের কী মনে হয়, আমি ইসলাম ও হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে কম জানি ? আপনারা আমার কথার জবাব গালিগালাজ ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় দেন না কেনো ? ক্ষমতা থাকলে আমার বিরুদ্ধে কলম ধরেন।

মুসলমানদের আরো প্রশ্ন হলো, রবিশঙ্কর যখন জাকির নায়েকের ভূল দেখাতে পারেনি তো আপনারা কে ?”

রবিশঙ্কর কি জাকির নায়েকের ভুল ধরে তার সা্থে ঝাগড়া করতে গিয়েছিলো যে রবিশঙ্কর জাকির নায়েকের ভুল ধরবে ?

এছাড়াও মুসলমানদের প্রশ্ন হলো- “জাকির যদি ভুলই হয় তবে হিন্দুধর্মীয় নেতারা তাকে ধরিয়ে দিচ্ছে না কেন ?”

পিস টিভি যখন রবিশঙ্করের এই ভিডিও প্রচার করে, তখন সবাই বুঝতে পারে যে, শান্তিবাদী রবিশঙ্করকে জাকির ফাঁসিয়েছে। এরপর বেদ নিয়ে প্রকৃত বিতর্কের জন্য বিখ্যাত বৈদিক সংগঠন আর্যসমাজ এর পক্ষ থেকে পর পর তিন বার অফিসিয়ালি ইমেইল এর মাধ্যমে IRF এর জাকির নায়েককে বিতর্কের জন্য আহবান জানানো হয়। কিন্তু ভীত ও ধূর্ত নায়েক জানেন যে বিখ্যাত বেদ গবেষনা সংগঠন আর্যসমাজের পন্ডিতগন, যাদের বেদ এর প্রতিটি অক্ষর পর্যন্ত মুখস্থ, তাঁদের সামনে বেদ নিয়ে অপপ্রচার চালানো সম্ভব হবে না, তাই সে কোনো সারা দেয় নি। শেষ পর্যন্ত চতুর্থবার বিতর্কের চ্যলেঞ্জ জানানোর পর IRF এর পক্ষ থেকে মাওলানা আব্দুল্লাহ তারিক কে পাঠানো হয় বিতর্কে অংশগ্রহনের জন্য। তখন আর্য সমাজের পন্ডিত মাহেন্দ্র পাল আর্য, যিনি নিজেও ৩০ বছর আগে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দুধর্মে ধর্মান্তরিত হন, আব্দুল্লাহ তারিককে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন। কিন্তু এই বিতর্কটি কি জাকির তার পিস টিভিতে দেখিয়েছ ?
এছাড়াও কথা হল IRF এর অনুষ্ঠানসমূহে জাকির যখন হিন্দুধর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন দাবী করেন তখন সেখানে কোন হিন্দুশাস্ত্রবিশারদদের আমন্ত্রন জানানো হয়না কেন ? ইসলামের আবির্ভাবের পর থেকে মুসলমানরা তো সব সময় ফাঁকা মাঠেই গোল দিতে অভ্যস্থ, জাকির সেখান থেকে বের হবে কিভাবে ? জাকিরের যদি সেই সৎসাহস থাকতো বা তার ইসলাম নিয়ে এত আত্মবিশ্বাস থাকতো, তাহলে তার, সকলের চ্যালেঞ্জ গ্রহন করার মতো সৎ সাহস থাকতো।

জাকিরের আরেকটি ভন্ডামীর কথা জেনে রাখেন, তার অনুষ্ঠানে, যে সব লোক ধর্মান্তরিত হতো, সেগুলো সবই ছিলো সাজানো নাটক। জাকিরের পিস টিভি বন্ধ হওয়ার পর তার ব্যক্তিগত ড্রাইভারের কাছ থেকে জানা গেছে এই তথ্য।

শেষের দিকে এসে আরেকটি তথ্য আলোচনা না করেই পারছি না- জাকির, রবিশঙ্করকে যে অনুষ্ঠানে হাজির করেছিলো, তার নাম দিয়েছিলো, "Concept of GOD in Hinduism & Islam"। এখানে খেয়াল করবেন, হিন্দুধর্ম বোঝাতে Hinduism শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। যে সব হিন্দুর “ism” শব্দের মানে জানা নেই, তারা হয়তো বলবেন যে, কেনো এখানে সমস্যাটা কী ? কিন্তু এর মানে বোঝার পর জানতে পারবেন যে, আসলে এর পেছনের গভীর ষড়যন্ত্রটা কী এবং কোথায় ?

‘ইজম’ মানে হলো ব্যক্তিগত মতবাদ, যখন কোনো ব্যক্তি কোনো মতবাদ দেয়, সেই মতবাদ বোঝাতে তার নামের শেষে ইজম ব্যবহার করা হয়, যেমন কার্ল মার্ক্স এর মতবাদের নাম মার্ক্সিজম= মার্ক্স+ইজম। কিন্তু হিন্দু ধর্ম কি কোনো একজনের ব্যক্তিগত মতবাদ, যে জাকির হিন্দু শব্দের সাথে ইজম লাগিয়েছে ? আর হিন্দু কি কোনো একজন ব্যক্তির নাম যে, এর সাথে ইজম যুক্ত হবে ? এই হিন্দুইজম শব্দটি শুধু প্রয়োগের দিক থেকেই ভুল নয়, গঠনের দিক থেকেও ভুল। কিন্তু এখানে জাকিরের উদ্দেশ্য ছিলো হিন্দু ধর্মের বিশালত্বকে ইজম শব্দের মাধ্যমে একটি ক্ষুদ্র গণ্ডীর মধ্যে নিয়ে আসা, ষড়যন্ত্রটা এখানেই। হিন্দুধর্ম বোঝাতে হিন্দু শব্দের সাথে কখনো ইজম শব্দ যুক্ত হবে না; কারণ, হিন্দুধর্ম কোনো একজন ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছার ফল নয়, যেমন একজন ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছার ফল হলো- ইসলাম, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধসহ সকল ব্যক্তিগত ধর্ম, যদিও এগুলোকে এখন ধর্ম বলে চালানো হচ্ছে, আসলে এগুলো ধর্ম নয়, এগুলো এক একটি ব্যক্তিগত মতবাদ।

প্রকৃতির সৃষ্টি যে কোনো কিছুর ধর্ম থাকে, যেমন- ধর্ম আছে আগুন, জল বা লোহার। মানুষ এগুলোর ধর্ম বানাতেও পারে না আবার তার পরিবর্তনও করতে পারে না। ধর্ম বানানো তাই প্রকৃতি নামক ঈশ্বরের কাজ, কোনো মানুষের কাজ নয়। এই সূত্রে প্রকৃতির বিধিবদ্ধ নিয়মের নির্যাস হিসেবে পৃথিবীর মানুষের জন্য একমাত্র ধর্ম হলো সনাতন মানবধর্ম, আর বাকিগুলো কোনো ধর্ম নয়, ওগুলো ব্যক্তিগত মতবাদ।

যা হোক, জাকির ও রবিশঙ্কর প্রসঙ্গে শেষ কথা হলো- জাকিরের সাথে রবিশঙ্করের বিতর্ক বলে যা প্রচার করা হয়, সেটা যে আসলে বিতর্ক নয়, ধান্ধাবাজ জাকির কোম্পানির কৌশলে তোলা আলোচনা চক্রের একটি ভিডিও মাত্র, যাতে অপ্রস্তুত অবস্থায় রবিশঙ্করকে বেদ থেকে কিছু প্রশ্ন করে বিব্রত করা হয়েছে এবং রবিশঙ্কর হিন্দুদের যে কোনো ধর্মগুরুও নয়, বাবা রামদেব এর মতো একজন যোগসাধক মাত্র, তাই জাকিরের সাথে রবিশঙ্করের তথাকথিত পরাজিত হওয়া, আসলে যা পরাজিত হওয়া নয়- আশা করছি সেই সম্পর্কে আমার বন্ধুদের কাছে প্রকৃত সত্যটা উদঘাটন করতে পেরেছি।

জয় হিন্দ।
জয় হোক সনাতনের।।
 from Jorder Boney

শনিবার, ২ মে, ২০২০

মুসলিমদের জন্ম পরিচয়




প্রশ্নের জবাব

দাদা আপনাদের জন্ম কিভাবে
হিল্লা ( সূরা আল বাকারা আয়াত ২৩০,  সহীহ বুখারী( ইফাঃ) হাদিস নং ৪৮৮৩ অধ্যায় ৫৫ পাবলিশারঃ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২০৪৩ হাদিসের মানঃ সহীহ)
নাকি চাচা ভাতিজির মিলনে (আলী ও ফাতেমা) নাকি শশুর বৌমার মিলনে ( মুহম্মদ  ও জয়নব)  নাকি ভাই বোনের মিলনে (কুরান)  নাকি যৌনদাসীর সাথে (দাসী মারিয়াহ, নবী মোহাম্মদ  )

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০

মুসলমানদের সনাতন ধর্ম চর্চা বনাম হিন্দু ধর্মের পূর্ণাঙ্গতা



মুসলমানদের সনাতন ধর্ম চর্চা বনাম হিন্দু ধর্মের পূর্ণাঙ্গতা :


গান-বাজনা, সনাতন তথা হিন্দু ধর্মের অঙ্গ, যা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু মুসলমানরা অবাধে গান বাজনার চর্চা করছে, শুনছে। বর্তমানে গান-বাজনা ছাড়া মুসলমানদের যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান এবং ঈদের আনন্দ মাটি। তাহলে ইসলামে যে গান বাজনা হারাম, তার বাস্তবতা কোথায় ? এই নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত কয়েকটি হাদিস দেখে নিন :
"বানর আর শুকর মানেই যারা পূর্বে বাদ্যযন্ত্র বাজাতো।" (বোখারি-৭/৬৯/৪৯৪)
“গান মানুষের অন্তুরে মুনাফেকির জন্ম দেয় যেমন পানি শস্য উৎপাদন করে।-মিশকাত শরীফ, ৪১১
“আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক সৃষ্টি হবে, যারা ব্যভিচার, রেশম, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল সাব্যস্ত করবে।” – (সহীহ বুখারী, ৫৫৯০)
এই কথাটা একবার ভাবুন তো, আপনি যদি গান করেন, তাহলে কার কী ক্ষতি করছেন, যে তাকে নিষিদ্ধ করতে হবে ?
নাচও সনাতন তথা হিন্দু ধর্মের একটা অঙ্গ। কিন্তু অনেক মুসলমান এখন নাচের চর্চা করছে। তাছাড়া নাচ দেখে না বা দেখতে পছন্দ করে না, এমন মুসলমান বোধ হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাহলে ইসলামে নাচ নিষিদ্ধের বাস্তবতা কোথায় ? নাকি ইসলামই সম্পূর্ণ একটি অবাস্তব ধর্ম ?
দেখে নিন নাচ সম্পর্কিত দুটি হাদিস :
“একদিন হযরত আয়েশা (রা.) এর নিকট বাজনাদার নুপুর পরে কোনো বালিকা আসলে আয়েশা রা. বললেন, খবরদার, তা কেটে না ফেলা পর্যন্ত আমার ঘরে প্রবেশ করবে না। অতঃপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ঘরে ঘণ্টি (নূপুর) থাকে সেই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।”- (সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ৪২৩১; সুনানে নাসাঈ হাদীস : ৫২৩৭)
সহীহ মুসলিমের ২১১৪ নং হাদিসে বলা আছে, “ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ঘণ্টি, বাজা, ঘুঙুর হল শয়তানের বাদ্যযন্ত্র।”
কবিতা লিখা, ছবি আঁকা, ছবি তোলা, ভাস্কর্য তথা মূর্তি নির্মান হিন্দু ধর্মের একটা প্রধান বিষয়, যা মুসলমানদের জন্য মহাপাপ। কিন্তু বর্তমানের মুসলমানরা ছবি আঁকছে না ? ছবি তুলছে না ? সিনেমা টিভিতে অভিনয় করছে না ? সিনেমা বানাচ্ছে না ? টিভি চ্যানেল খুলে ব্যবসা করছে না ? সংখ্যায় অল্প হলেও মুসলমানদের কেউ কেউ ভাস্কর্য শিল্পের সাথে জড়িত নয় ?
ইসলামের সোল এজেন্ট সৌদি আরব, পাসপোর্টে ছবি ছাড়া, হাজীদেরকে আরবে ঢুকতে দেবে ? ইসলাম বিরোধী- ছবি তোলা চর্চা করে ও তাকে প্রশ্রয় দিয়ে সৌদি আরব ইসলামের চর্চা করছে না হজের নামে ব্যবসা করছে ? বর্তমানে মুসলমানরা কি পাসপোর্টের জন্য ছবি না তুলে পার্থিব বেহেশত- ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ায়, বৈধভাবে ঢুকতে পারবে ? ইসলামে ছবি তোলা নিষিদ্ধ হওয়ায়, এটা স্পষ্ট যে ইসলাম একটি সম্পূর্ণ অবাস্তব ধর্ম ।
উপরোল্লিখিত বিষয়গুলো সবই সনাতন তথা হিন্দু ধর্মের চর্চার বিষয়। অথচ মুসলমানরা অবাধে এসব চর্চা করে চলেছে, আর নিজেদেরকে পরিচয় দিচ্ছে মুসলমান হিসেবে! ভণ্ডামী আর কাকে বলে ? যাদের কাছে মনে হচ্ছে আমি এসব অযথা ই বলছি, কোরান হাদিস থেকে তাদের জন্য কয়েটি রেফারেন্স:
"আর কবিদের কথা ! তাদের পেছনে চলে বিভ্রান্ত লোকেরা। তোমরা কি দেখো না যে, প্রতিটি প্রান্তরে তারা বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরে মরে, এবং এমন সব কথা বার্তা বলে, যা তারা নিজেরা করে না"। (কোরান-২৬/
২৩,২৪,২৫)
"মাথা ভর্তি কবিতার চেয়ে পেট ভর্তি পুঁজ উত্তম।" (বোখারি, ৮/৭৩/১৭৫)
"যে ঘরে কুকুর ও ছবি আছে, সেই ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না।"
"নিশ্চয় জানিও আল্লার নিকটে তথা আখেরাতে সর্বাধিক কঠিন আজাব হবে ছবি তৈরি কারকদের।"
"যদি কেহ জীবজন্তুর ছবি অংকন করা হারাম জানা সত্ত্বেও উহা অংকন করে তবে সে কাফের হইয়া যায়।"
উপরের বলা কথাটি আবারও বলতে হচ্ছে, ছবি তুলে বা ছবি এঁকে, আপনি কার পাকা ধানে মই দিচ্ছেন যে, তাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে ?
জন্মসূত্রেই প্রতিটি মানুষ কোনো না কোনো বিষয়ের প্রতিভা নিয়ে জন্মায়। সুযোগ ও পরিবেশের অভাবে কেউ তার সেই প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে, কেউ পারে না। কিন্তু প্রতিটি মানুষ তার প্রকৃতি প্রদত্ত প্রতিভার আলোকে কিছুটা আলোকিত হবেই এবং তা হয় ই। কিন্তু যখন কোনো মুসলমান, বয়স বাড়ার সাথে সাথে এবং ইসলামি জ্ঞান বৃদ্ধির সাথে সাথে জানতে পারে যে, এই সব সুকুমার বৃত্তির শিল্পচর্চা ইসলামে হারাম, তখন সে দ্ধিধাদ্বন্দ্বে পড়ে এবং পাপবোধে বা অপরাধবোধে ভুগতে থাকে। এই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে ভুগতে কেউ কেউ ঐ সব শিল্পের চর্চা তথা কবিতা লিখা, ছবি তোলা, ছবি আঁকা, ভাস্কর্য নির্মান, গান-বাজনা, নাচ ইত্যাদি ছেড়ে দেয়; আর কেউ ইসলামের এই সব নিষেধাজ্ঞাকে ফালতু মনে করে ঐ ব শিল্পের চর্চা চালিয়ে যায়। কিন্তু কোরান হাদিসে স্পষ্ট বলা আছে, ঐসব শিল্পচর্চা শিরকি, অর্থাৎ জেনে বুঝে কোনো মুসলমান ঐ সব কাজ করলে, সে আর মুসলমান থাকবে না, সে হবে জাহান্নামী। তাই যেসব মুসলমান ইসলামি নাম ধারণ করে ঐসব শিল্পের চর্চা করে, তারা একটা পাপবোধ বা অপরাধবোধে ভুগবেই। এজন্য আমি বলি কি, মনে পাপবোধ নিয়ে এসব করার কী দরকার ? নাম চেঞ্জ করে বা না করে সনাতন হিন্দু ধর্ম পালন করে এসব করলে মনেও শান্তি পাবেন, আর এসব শিল্পচর্চায় আকাশচুম্বী সাফল্যও পাবেন। মনে দ্বিধা নিয়ে কোনো কাজে কি চুড়ান্ত সাফল্য পাওয়া যায় ?
এই নিষিদ্ধ বিষয়গুলোর চর্চা মুসলমানরা করতে বাধ্য হয়ে এটা প্রমান করছে যে, ইসলাম সম্পূর্ণ একটি অবাস্তব ধর্ম। মুখে মুসলমানরা যতই বলুক যে, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান; বাস্তবে হিন্দুদের কাছ থেকে এই বিষয়গুলি ধার না করে সমাজে তাদের চলবার উপায় নেই।
"পক্ষান্তরে হিন্দু সমাজে এবং হিন্দু ধর্মে- এমন কোনো বিষয় নেই যে, তা ইসলাম বা অন্য কোনো ধর্ম থেকে ধার করা।"
আমার এই কোট করা কথাটি গভীরভাবে ভেবে দেখবেন, হিন্দু ধর্ম নিয়ে যদি আপনার কোনো হীনম্মন্যতা থাকে, তাহলে তা দূর হয়ে যাবে।
তাই এ কথা জোর দিয়ে বলতে পারি যে, অন্য কোনো ধর্ম নয়, হিন্দু তথা সনাতন ধর্মই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ধর্ম এবং পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এজন্যই স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, "গর্বের সাথে বলো আমি হিন্দু।"
জয় হিন্দ।

মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০২০

করোনা নাকি আল্লার গজব

ইসলাম হচ্ছে সেই কাল্পনিক বিধান
যা তৈরি করেছিলেন মুহম্মদ। 
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইসলামিক রা
প্রচার করছে আল্লার গজব



সুত্রঃ https://www.jugantor.com/islam-life/290122/করোনা-নিয়ে-চিন্তাবিদদের-দ্বন্দ্ব-ও-ইসলামের-শিক্ষা

সুত্রঃ https://www.jugantor.com/social-media/290478/৩-কারণে-আল্লাহ-করোনাকে-গজব-হিসেবে-পাঠিয়েছেন-আজহারী

কি বলব এদের মিথ্যা কথা।
এরা কি জানে এখন মুসলিমরা কত মরতাছে সৌদি বন্ধ  হয বন্ধ। কেন?  

শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০২০

হজরত মুহাম্মদ ও কল্কি অবতার



আমাদের প্রিয় মুসলিম ভাই-বোনেরা অর্থাত্‍ ভন্ড জাকিরের অনুসারীরা দাবী করে থাকেন যে,
ভবিষ্যপুরাণে ও কল্কিপুরানে নাকি মুহাম্মদের উল্লেখ রয়েছে।আমিও তাদের সাথে একমত।ভবিষ্য পুরাণে মুহাম্মদের উল্লেখ না থাকলেও মহামদের কথা অবশ্যই উল্লেখ রয়েছে,তবে তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম মহামদ নামক মানুষটিই হলো মুহাম্মদ।
তবে লেখাটা কি আছে সেটা তো নিশ্চয়ই দেখতে হবে তাই না?
আসুন এক নজর দেখে নিই,ভবিষ্য পুরাণ কি বলছে মুহাম্মদ সম্পর্কে:-
“এতস্মিন্নন্তিবে সেত্দচ্ছ আচার্যেন সমন্বিতঃ।
মহামদ ইতিখ্যাতঃ শিষ্যশাখা সমন্বিত।।"
"নৃপশ্চৈব মহাদেবং মরুস্থল
নিবাসিম্ম।
চন্দনাদিভির ভ্যর্চ্য তুষ্টাব মনসাহরম্নমস্তে গিরি জানাথ মরুস্থল নিবাসিনে।
ক্রিপুবাসুরনাশায় বহুমায়া প্রবর্তিনে॥"
(ভবিষ্যপুরাণ ৩:৩:৩)
"তম্মান্মুসলবন্তো হি জাতয়ো
ধর্ম্ম দূষকাঃ।
ইতি পৈশাচধমশ্চ ভবিষ্যতি ময়াকৃতঃ। ”
(ভবিষ্যপুরাণ শ্লোকঃ ১০-২৭।)
অর্থাৎ, মুহাম্মদকে ভবিষ্য পুরাণ -এ (৩:৩:৫-২৭) মহামদ নামে অভিহিত করা হয়।এই অংশে তাঁকে আরব -সঞ্জাত বলে অভিহিত করে পিশাচধর্মের
প্রবক্তা ধর্মদুষ্ক (ধর্মদূষণকারী)
বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং মুসলমান নামে দূষিত সমাজের প্রবর্তনকারী বলা হয়েছে।এতে উল্লেখ করা রয়েছে,মুহাম্মদ ছিল মহাদেব অর্থাৎ শিব কর্তৃক নিহত পিশাচ ত্রিপুরা অর্থাৎ ত্রিপুরাসুরের অবতার।
Note:-আমরা জানি যে, প্রতিটি অসুরই ছিল এক একটি অসুরের অবতার।অর্থাৎ,পরিশেষে একথা স্পষ্ট যে মুহাম্মদ ছিল একজন অসুরের অবতার।যে কিনা পৃর্বে মহাদেব (শিব) কর্তৃক বধ হয়েছিল।
Note:-এখন মুসলিমদের উচিত তাদের স্বীকার করা যে যেমন কর্ম করবে সেই হিসেবে মানুষকে পুনরায় পৃথিবীতে জন্ম নিতে হবে।যদি তাদের কিতাবে এমন কিছু না থাকে তাহলে যাতে তারা নিজেদের কিতাবে তা সংশোধন করে নেয়।
®কল্কি পুরাণ-২/৪ অনুসারে ভগবান্ বিষ্ণু স্বয়ং শম্ভল নামক গ্রামে বিষ্ণুযশা নামক ব্রাহ্মণের গৃহে সুমতি নামক ব্রাহ্মণকন্যার গর্ভে আবির্ভূত হবেন।
Note:-বেদ মতে ঈশ্বরের গুনকারী নামের মধ্যে একটি হলো বিষ্ণু যার অর্থ প্রতিপালক।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য এই যে ঈশ্বর জন্ম মৃত্যুর বাইরে।এবার আসা যাক পুরান মতে,পুরান অনুযায়ী ঈশ্বর জন্ম নেয় অবতার হয়ে।তাহলে মুসলিমরা স্বীকার এটাও করে নিক যে তাদের মুহাম্মদ আল্লাহর অবতার বা আল্লাহর মানব জন্ম।এবং তাদের উচিত হবে তারা যেনো দ্রুত তাদের কালিমা_ই শাহাদাতে আবদুহু ওয়া রাসূলুহু শব্দটি বর্জন করুক,কারণ এখানে মুহাম্মদকে আল্লাহর বান্দা ও রসূল বলা হয়েছে।
এছাড়া ব্রাহ্মণ তাকে বলে যে বেদ পড়ে,বেদ পড়ায়,যজ্ঞ করে,যজ্ঞ করায়,দান করে ও দান গ্রহণ করে অর্থাৎ যে ধার্মিক ব্যক্তি এই ছয়টি কাজ করবে তাকে ব্রাহ্মণ বলা হবে(মনুস্মৃতি,বিশুদ্ধ শ্লোক-1:87)।এখন প্রশ্ন উঠে মুহাম্মদের পিতা এই কাজ গুলি করতো কিনা তা মুসলিম সমাজ ভালো জানবে।
®কল্কিপুরাণ-২/৬ অনুসারে কল্কির স্ত্রী হবেন পদ্মা যিনি সিংহলে(শ্রীলঙ্কা) বৃহদ্রথের ঘরে কৌমুদীনামক মহিষীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করবেন।
Note:-এখন প্রশ্ন উঠে মুহাম্মদের কোন স্ত্রীর নাম পদ্মা ও তিনি সিংহল নিবাসী এবং তার কোন শশুরের নাম বৃহদ্রত ও তার কোন শাশুড়ির নাম কৌমুদী?হয় মুসলিম আলিম উলেমারা এই তথ্য দিক নইলে দ্রুত কোনো সীরাতের কিতাবে এই তথ্য প্রবেশ করিয়ে ফেলুক,কারণ হিন্দুরা তো আরবি পড়তে পারে না তাই কেউ ধরতেও পারবে না।
®কল্কিপুরাণ ২/১৫ অনুসারে কল্কি বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষীয় দ্বাদশীতে পরমেশ্বর বিষ্ণু জন্মগ্রহণ করবেন। পিতা মাতা তাকে দেখে খুব আনন্দিত হবেন।
Note:-পুরান অনুযায়ী আমরা দেখতে পাচ্ছি কল্কির জন্ম বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথিতে কিন্তু আমরা জানি মুহাম্মদের জন্ম নিয়ে দ্বিমত রয়েছে কারুর কারুর মতে নবম রবিউল আবার কারুর কারুর মতে দ্বাদশ রবিউল।আরও পুরান বলে জন্মের সময় তার মাতা পিতা তাকে দেখে খুশি হবেন কিন্তু আমরা জানি মুহাম্মদের পিতা তার জন্মের পূর্বেই মারা যান এবং তাকে জন্মের সময় তার মাতা ও ঠাকুরদা খুব খুশি হয়েছিলেন।তার মানে কি মুহাম্মদের পিতা তেমন কেউ ছিলো যিনি লুকিয়ে লুকিয়ে তার পুত্রকে দেখে খুশি হয়েছিলো।মুসলিম আলিম সমাজ এই ব্যাপারে ভালো বলতে পারবে কেননা অনেকের মতে নাকি তিনি তার পিতার মৃত্যুর আড়াই বছর পর জন্ম নিয়ে ছিলেন।
®কল্কিপুরাণ ২/২৩ অনুসারে মা সুমতি পরমেশ্বর বিষ্ণুকে কল্কিরূপে পেয়ে ব্রাহ্মণগণকে আহ্বানপূর্বক গোদান করেছিলেন।
Note:-মহম্মদের মা আমেনা কি গোদান করেছিলেন?
®কল্কিপুরাণ -২/২৪ মতে পিতা বিষ্ণুযশা ঋক্, সাম, যজুর্বেদী প্রধান প্রধান ব্রাহ্মণ দিয়ে নামকরণ করবেন।
Note:-মহম্মদের পিতা তো তার জন্মের আগেই মারা যায়।তাছাড়া মুহাম্মদের নামকরণ করেছিলেন তার কাফের চাচা আবু তালেব ইবনে আব্দুল মুত্তালিব।তাহলে কি সেই কাফেরের দেওয়া নাম আজও কালিমা বহন করে চলেছে?কিন্তু প্রশ্ন ওঠে আবু তালেব কখন ঋক সাম যজুর বেদ হিব্স করেছিলো?
®কল্কিপুরাণ-২/৩১ অনুসারে কল্কির পূর্বে তাঁর তিন বড় ভাই জন্মগ্রহণ করবেন। তাঁদের নাম কবি, প্রাজ্ঞ ও সুমন্ত্র।
Note:-মহম্মদের কি কোন আপন ভাই ছিল?নাকি আব্দুলার সহিত আমিনার বিয়ের পূর্বে তার মাতা আমিনা কোনো রূপ পরকীয়াতে লিপ্ত ছিলো নাকি আব্দুল্লার সহিত তার দ্বিতীয় বিবাহ।এক্ষেতে মুসলিম আলিম সমাজের দৃষ্টিপাত আশা করিবো।
®কল্কিপুরাণ-২/৩৫ অনুসারে কল্কির পিতা স্বয়ং তাঁকে উপনয়ন প্রদান করে গায়ত্রীমন্ত্রে দীক্ষিত করবেন।
Note:-যদিও আগে বলেছি উনার পিতা মৃত যদি ধরেনি যে তার আসল পিতা জীবিত ছিলো তাহলে কি সে মুহাম্মদকে গায়েত্রী মন্ত্রে দীক্ষা দিয়েছিলো?যদি তাই হয় তাহলে কালিমা পড়ে মুসলিম সমাজ কেনো গুমরাহীর দিকে এগিয়ে চলেছে তাদের তো তাদের নবীর সুন্নত পালন করা কর্তব্য।
®কল্কিপুরাণ-২/৪৮ অনুসারে তিনি পিতা এবং ব্রাহ্মণ কর্তৃক উপনয়ন গ্রহণের পর গুরুকূলে শিক্ষা লাভ করবেন।
Note:-মহম্মদ তো নিরক্ষর ছিল। তাহলে তিনি কীভাবে কল্কি হন?
®কল্কিপুরাণ-৩/১-২ অনুসারে পরশুরাম তাঁকে নিজ আশ্রমে এনে অধ্যয়ন করান।
Note:-মুহাম্মদ যদি পড়াশোনা জানতো তাহলে মুহাম্মদ সেই সত্য জানতো কিন্তু আল্লাহ কিরূপ কুরআনে বলে ফেললো যে সে নিরক্ষর।নাকি আল্লাহও তাকিয়া করতে পছন্দ করে ?
®কল্কিপুরাণ-৩/৫ অনুসারে কল্কিদেব পরশুরামের নিকট বেদ অধ্যয়ন আরম্ভ করলেন।
Note:-অনেকে বলে মুহাম্মদ কুরআনের হাফেজ কিন্তু পুরানের মুহাম্মদ তো দেখছি বেদের হাফেজি করবে।
®কল্কিপুরাণ-৩/৯ অনুসারে তিনি শিবের কাছ থেকে অস্ত্র লাভ করবেন এবং তারপর সিংহলের পদ্মা নামক কুমারীকে বিবাহ করবেন।
Note:-মহম্মদের স্ত্রীর নাম কি পদ্মা ছিল নাকি? আর মহম্মদের প্রথম স্ত্রী খাদিজা তো কুমারী ছিলেন না বরং ডবল সেঞ্চুরি করে এসেছিলো এছাড়া মহম্মদের তুলনায় বয়স্ক ছিলেন।
®কল্কিপুরাণ-৩/১৩ অনুসারে কল্কিদেব শিবের পূজা করবেন। মহাম্মদ কি শিবের পূজা করবেন?
Note:-অর্থাৎ মুহাম্মদ কি বেদের সেই শিবের উপাসনা করে যিনি কোনো ফেরেস্তার মুখাপেক্ষী নোই বা যার নিজ কর্মে কোনো ফেরেস্তার সহযোগিতার দরকার পড়ে না।নাকি পুরানের শিব লিঙ্গের উপাসনা করতেন অৰ্থাৎ তিনি মুশরিক ছিলেন নাকি?আলিম সমাজ কি জাতির কাছে কিছু লুকোচ্ছে ? জাতি সত্য জানতে চায়।
®কল্কিপুরাণ-৩/২৫ অনুসারে শিব ও পার্বতী উভয়ে কল্কির প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে একটি দ্রুতগামী অশ্ব এবং একটি শুক পাখী দিবেন।
Note:-আমরা জানি মুহাম্মদের একটি ঘোড়া ছিলো যার নাম যুলজানা যদিও কল্কি অবতারের ঘোড়ার নাম সেটি নোই, কিন্তু তার কি এমন কোনো আজ্ঞাবাহী পাখি ছিলো যার দ্বারা সে বার্তা প্রেরণ করতো ? ঠিক যেমন গুরু গোবিন্দ সিং করতো ?
®কল্কিপুরাণ ৪/১৯ মতে কল্কি উপদেশ দিচ্ছেন, ব্রাহ্মণেরা ভস্ম, মৃত্তিকা, চন্দন প্রভৃতি দ্বারা তিলক ধারণ করবেন। তাঁদের ললাট হতে শিখা পর্যন্ত ত্রিপুণ্ড তিলক ধারণ করবেন।
Note:-মহম্মদের অনুসারীরা কি এখন তিলক গ্রহণ করবেন তো? মাথায় শিখা রাখবেন তো?
®কল্কি পুরান এর অষ্টম অধ্যয় এর ২৩-২৫ নং শ্লোক এ লেখা হয়েছে বাল্য বয়সে কল্কির উপনয়ন হবে, কল্কিকে তার গুরু পরশুরাম চারবেদ এবং ছয় বেদাঙ্গে সুশিক্ষিত করবেন।
Note:-এখন কথা হল মুহম্মদ কি চারবেদ বা ছয় বেদাঙ্গ শিখেছিলেন অথবা তার কি উপনয়ন হয়েছিল?
®কল্কি পুরাণ ১৩.৩৬ মতে কল্কি অবতারের সন্তান ২ টি এবং ২ টিই পুত্র সন্তান।তাঁদের নাম জয় এবং বিজয়। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী তারা অনেক বড় বীর এবং অনেক যুদ্ধে অংশ গ্রহন করবেন।
Note:-মুহাম্মদের এর প্রথম স্ত্রী খাদিজার গর্ভেই তার ৬ সন্তান হয় যার মাঝে দুই পুত্র এবং প্রথম পুত্র কাসিম ১ বছর বয়সেই মারা যায়।তার কি জয় ও বিজয় নামে কোনো সন্তান ছিলো যে উনার সাথে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলো?
®ভাগবতপুরাণ-১/৩/২৫ অনুযায়ী,ভাগবত পুরান এবং বিষ্ণু পুরাণ অনুযায়ী কল্কি অবতার এবং তার স্ত্রী নিরামিষভোজী ছিলেন।
Note:-নবী মুহম্মদ ও তার স্ত্রী নিরামিষাশী ছিলেন কি আলিম সমাজ জবাব দিক?
®ভগবত পুরাণ ১২.২.১৬ অনুসারে,কল্কি আসবেন ধর্মরক্ষার জন্য অর্থাৎ আগে যে বেদ অনুযায়ী সনাতন ধর্ম ছিলো তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে।
Note:-কিন্তু আমরা জানি মুহাম্মদ এসেছিলো কুরআন অনুযায়ী ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য,এখন মুসলিম আলিম সমাজ এটা ঠিক করুক মুহাম্মদ কি প্রতিষ্ঠা করেছিলো কুরআন নাকি বেদ?
®ভগবত পুরাণ ১২.২.৩১ এ যুগের জ্যোতিষ হিসেবে বলা হয়েছে যে "সপ্তর্ষি যখন রাশি চক্রের মঘা নক্ষত্রের উপর বিচরণ করে তখন কলি যুগের সূচনা হয়"।এখানে মহাকাশের প্রসারণের জন্য সপ্তর্ষিকে আপাত দৃষ্টিতে পৃথিবী থেকে গতিশীল মনে হয়।
এরপর ভগবত পুরাণ ১২.২.৩২ এ বলা হয়েছে " যে সময় সপ্তর্ষি মঘা ত্যাগ করে পূর্বাষরা নক্ষত্রে তখন কলি যুগের বৃদ্ধির সূচনা হবে "
এবং ভগবত পুরাণ ১২.২.২৮ এ বলা হয়েছে "যখন রাশিচক্রে চন্দ্র,সূর্য ও বৃহস্পতি এক সময়ে এক সঙ্গে পুষ্যা নক্ষত্রে প্রথম ক্ষনে প্রবেশ করে ও একই রাশিতে অবস্থান করে তখন সত্য যুগের সূচনা হয়ে যায়"।
Note:-মুহাম্মদের জন্ম থেকে মৃত্যু প্রজন্ত কি এই রূপ কোনো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে উলামায়ে কেরাম জোতিষ হিসেব করে একটু বলে দিয়ে যান।
®পুরান অনুযায়ী পৃথিবীর স্থলভাগ(দ্বীপ)ক
ে সপ্তদ্বীপে ভাগ করা হয়েছিলো যথা- জম্মু(বর্তমান ভারত),পলক্ষ,শাল্মল, কুশ,করণছো,শাক,পুস্কর"| কিন্তু সেই পুরানে প্রতিটা দ্বীপের বর্ণনাও দেওয়া আছে.সেখানে শাল্মল দ্বীপের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলা আছে এখানে সাতটি পর্বত ও সাতটি নদী আছে,এখানে বর্ণাশ্রম ব্যবস্থাও প্রচলিত,এখানকার মানুষেরা যাগ যজ্ঞ করে,এখানে বৃহৎ শিমুল গাছ আছে।
Note:-এখন প্রশ্ন হলো মুহাম্মদের জন্মের সময় কি মক্কাতে সেইরূপ তেমন কিছু ছিলো?
Note:-সনাতন ধর্ম অনুযায়ী কলি যুগের সময়কাল হল ৪,৩২,০০০ বছর, মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের পুর্ণিমা তিথিতে শুক্রবারে কলিযুগের উৎপত্তি।বিষ্ণু পুরাণ বলা হয়েছে যে কৃষ্ণের পৃথিবী ত্যাগ করে তখন কলি যুগের সূচনা হয়েছে। এখন কেবল ৫,০০০ বছর চলছে। সেই হিসাব অনুযায়ী, কল্কি অবতারের জন্ম গ্রহণ করতে এখনও অনেক দেরি|কল্কির কলিযুগের অন্তে মানে শেষের দিকে আর্বিভাব ঘটবে।নবির মৃত্যু প্রায় 1400 আগে হয়েছে অন্যদিকে কল্কি অবতারের জন্ম গ্রহণ করতে এখনও 427000 বছর বাকি।
Note:©:-কল্কিপুরান ও ভবিষ্যপুরান ছাড়া আরও অনেক পুরান আছে যেখানে আরও কিছু অবতারের কথা জানা যায়।তাদের মধ্যে একটি অবতার হলো বরাহ অবতার অর্থাৎ শুকর অবতার।এখন প্রশ্ন মুহাম্মদ যদি সত্যি কল্কি অবতার মুহাম্মদ হয় তাহলে বরাহ বা শুকরটা কে,হজরত ইব্রাহিম নাকি হজরত ইসমাইল?মুফাস্সীরে কুরআন ও শাইখুল হাদিসগণ অবশ্যয় আমাদের তথ্যটি দিয়ে সাহায্য করবেন আমরা আপনাদের অপেক্ষারত।
©®©আশা করি সঠিক তথ্যটা সবাই জানতে পেরেছেন।শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন এবং অপব্যাখ্যা প্রতিরোধ করুন।
 from Biplab Mandal

ইসলামের দাওয়াতকারীদেরকে কথার মাধ্যমে প্রতিহত বা জব্দ করবেন যেভাবে

ইসলামের দাওয়াতকারীদেরকে কথার মাধ্যমে প্রতিহত বা জব্দ করবেন যেভাবে :
তুই মুসলমান হয়ে যা। জীবনের কোনো এক পর্যায়ে মুসলমানদের এই দাওয়াত পায় নি, এমন হিন্দু বাংলাদেশে সম্ভবত একজনও নেই। এমন একটি অবমাননাকর প্রস্তাব পাওয়ার পরও, মুসলমানরা সংখ্যায় বেশি বলে প্রতিবাদ করলে ঝামেলা হবে এবং এই প্রস্তাবের সঠিক মাথাঠাণ্ডা জবাব আমাদের জানা না থাকার কারণে, আমরা হিন্দুরা কিছু বলতে না পেরে মুখে একটা হাসি এনে পরিস্থিতি ম্যানেজ করার চেষ্টা করি, কিন্তু যোগ্য জবাব দিতে না পারায় মনের ভেতরে একটা রাগ ও কষ্ট কিন্তু থেকেই যায়। এই পোস্টটি পড়লে জানতে পারবেন সেই যোগ্য জবাব, যা মুসলমানদের থোতা মুখকে ভোঁতা করে দেবে।
যা হোক, কেউ আপনাকে মুসলমান হতে বললেই, তাকে সঙ্গে সঙ্গে উল্টো প্রশ্ন করুন, আমাকে মুসলমান হতে হবে কেনো ? আমার ধর্ম কি খারাপ ? তোদের মধ্যে পুরুষেরা চারটা বিয়ে করতে পারে, এটা কি কোনো আদর্শ পরিবারের ছবি ? কোনো মুসলিম মেয়ের সাথে আপনি যদি কথা বলতে থাকেন, তাকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করুন, তুই কি চাস, তোর স্বামী আরেকটা বিযে করুক ? দেখবেন, তার মুখ সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে। তারপর বলুন, পৃথিবীর কোনো মেয়েই তার স্বামীকে অন্য মেয়ের সাথে ভাগ করতে চায় না, কিন্তু ইসলামে এই সতীনের সংসারের বিধান আছে। এইভাবে কি কোনো সুখী পরিবার তৈরি করা সম্ভব ? না নিজে সুখ পাওয়া সম্ভব ? তারপর তাকে একটু ইসলামের ইতিহাসের জ্ঞান দিন; বলুন, জানিস, তোদের নবীর প্রিয় নাতি, হাসান, কেনো মরেছিলো ? চার বিয়ের বিধান পূর্ণ করতে তৃতীয় বিয়ে করায়, দ্বিতীয় স্ত্রী ওকে বিষ খাইয়ে মেরেছিলো। এখন তুই ই বল, ইসলামের এই চার বিয়ের বিধান কী বাস্তব সম্মত ? এই বিধানকে কি কোনো নারী মেনে নিতে পারে ? দেখবেন, ও স্তব্ধ হয়ে গেছে।
এরপর বলুন, শুধু তাই ই নয়, বিয়ের পর যখন তখন তালাক দিয়ে বউকে রাস্তায় বের করে দেওয়ার বিধানও ইসলামে আছে। এটা্ কি ন্যায় সঙ্গত ? প্রকৃতিগতভাবেই মেয়েরা পুরুষের তুলনায় পিতৃতান্ত্রিক সমাজে কিছুটা দুর্বল ও অসহায়, এরপর তাকে যদি যখন তখন তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়, তখন তার যাওয়ার কোনো জায়গা থাকে ? তোরা বলিস ইসলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ মর্যাদা, এটা কি তার নমুনা ? কিন্তু হিন্দু ধর্মে এই তালাক দেওয়ার বিধান নেই, আর হিন্দু ছেলেরা, একটা বউ থাকতে দ্বিতীয় আর একটা বিয়ে করার চিন্তা কখনো করবে না। এখন তুই ই বল, কোন পরিবারে মেয়েরা সুখে আছে বা থাকবে, হিন্দু না মুসলিম ?
এই প্রশ্নের কোনো জবাব কোনো মুসলিম মেয়ে দিতে পারবে না বা দেবে না; কিন্তু তর্কের খাতিরে বলবে, ইসলাম নারীকে পিতার সম্পত্তির অধিকার দিয়েছে, কিন্তু হিন্দু ধর্ম দেয় নি। জবাবে বলবেন, দিয়েছে, কিন্ত পুরুষের অর্ধেক (কোরান, ৪/১১), বাংলাদেশে আমরা আর কয়টা হিন্দু বাস করি, আমাদের কথা বাদ দে, কিন্তু ভারত, যে ভারতে পৃথিবীর সমগ্র হিন্দুর প্রায় ৯০% এর বাস, সেই ভারতে কিন্তু পিতার সম্পত্তিতে হিন্দু ছেলের মেয়ের সমান অধিকার। এছাড়াও বাংলাদেশে অধিকাংশ হিন্দু পরিবার তাদের মেয়ের বিয়েতে যে পরিমান টাকা-পয়সা-গয়না, মেয়ের জন্য দেয়, তা কিন্তু উত্তরাধিকার সূত্রে তার পাওনার চেয়েও অনেক বেশি।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, মাথার উপর তালাকের খড়গ ঝুলিয়ে তোকে যদি সোনার খাটে শুইয়ে রাখা হয়, তাহলে কি তোর ঘুম হবে ? প্রত্যকটা মুসলিম মেয়েকে সব সময় এই ভয়ে থাকতে হয় যে, কখন তাকে তালাক দিয়ে তার স্বামী তাকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় বা আরেকটা বিয়ে করে আনে ? কিন্তু কোনো হিন্দু মেয়ের এই টেনসন নেই। তাহলে কাদের পরিবার আদর্শ, আর কারা সুখী ? মুসলমান পুরুষরা যাতে যখন তখন তালাক দিতে না পারে, সেজন্যই তো বিয়ের সময় কাবিন নামায় বেশি করে দেনমোহর লিখে রাখে, যা তালাকের পর ছেলেদের মেয়েদেরকে দিতে হয়। এ প্রসঙ্গে আরো বলুন, ইসলাম ধর্ম কিন্তু কোনো মুসলিম মেয়ের সংসার টিকে থাকার গ্যারান্টি দেয় নি বা দিতে পারছে না, গ্যারান্টি আদায় করতে হচ্ছে টাকার বিনিময়ে। তাহলে এখানে কিন্তু টাকা ই বড়, ইসলাম ধর্ম বড় নয়।
যখন তখন সংসার ভেঙ্গে যেতে পারে, এই ভয়ে মুসলিম মেয়েরা বিয়ের পর পরই বাচ্চা নেয় বা সিনিয়ররা মেয়েকে বাচ্চা নেওয়ার পরামর্শ দেয়, যাতে বাচ্চার কারণে সংসারটা টিকে যায়, এটাও কি জীবনের একটা অনিশ্চয়তা নয় ? হিন্দু মেয়েদের কিন্তু এসব চিন্তা নেই। তাহলে কোনটা ভালো ধর্ম ? আবার শুনি, দেনমোহরে যে নগদ টাকা লিখা থাকে সেই টাকা স্বামী, স্ত্রীকে না দিলে বা মাফ চেয়ে না নিলে স্বামীর নাকি স্ত্রীর গায়ে হাত দেওয়ারও অধিকার নেই, এটা কি পতিতাবৃত্তির মতো হয়ে গেলো না ? আগে টাকা তারপর শরীর ? এখানে স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা কোথায় ? বিয়ের সময় কুমারী মেয়েদের সম্মতি নেবার দরকার নেই, বলা আছে হাদিসে ( মুসলিম শরীফ, ৩৩০৭), মেয়েরা কি গরু ছাগল যে, যার হাতে খুশি দড়ি ধরিয়ে দিলো ? অনেক হিন্দু পরিবার আছে, যেখানে বাচ্চা-কাচ্চা না হলেও স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে নি বা করে না, এজন্য যে সংসারে অশান্তি হবে, এটা কি মুসলিম সমাজে সম্ভব ? একজন বন্ধ্যা নারীর প্রতি এই যে সম্মান, এটা কি ইসলাম দেয় ? ইসলামে তো বন্ধ্যা নারীকে বিয়ে করাই নিষেধ ( সুনান আবু দাউদ, ১১/২০১৪৫)
ইসলাম মানলে দেবর-ভাসুরের সাথে কথা পর্যন্ত বলা যাবে না (Sahih Bukhari 7:62:159)। ইসলাম কি মনে করে, মেয়েরা যার সাথে কথা বলবে তাকে নিয়েই বিছানায় শোবে ?
হিলা বিয়ের ব্যাপারটা তো জানিস, স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার তাকে নিতে চায়, তাহলে সেই স্ত্রীকে অন্য একজনকে বিয়ে করে তার সাথে কমপক্ষে একরাত সেক্স করে তারপর পুরোনো স্বামীর কাছে ফিরতে হবে (কোরান, ২/২৩০, মুসলিম শরীফ, ৩৩৫৪), এটা কি কোনো সভ্য আইন ? ইসলাম কি সকল মেয়েকে বেশ্যা বানাতে চায় ?
আরো বলবেন, তুই জানিস মুসলমান পুরুষরা কোন কারণ ছাড়াই স্ত্রীকে পেটাতে পারে এবং এর জন্য তাকে কোনোদিন জবাব দিহি করতে হবে না ? (বুখারি, ৮/৮২/৮২৮)। এটা সংসার, না নরক ? এভাবে কি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা গড়ে উঠতে পারে ?
ইসলাম নাকি নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ মর্যাদা, তাহলে ইসলাম নারী নেতৃত্বকে স্বীকার করে না কেনো ? কেনো হাদিসে বলা হয়েছে, নারীর হাতে নেতৃত্ব দিলে জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে ? (বুখারি, ১০/৬৬১৮)। এটাকে কি তোর সত্য বলে মনে হয় ? নারীর নেতৃত্বে কোনো দেশ ধ্বংস হয়েছে, দেখাতে পারবি ?
আবার শুনি ইসলামে জন্মনিয়ন্ত্রণ নিষেধ (সুনান আবু দাউদ, ১১/২০১৪৫)। এজন্য ইসলাম সঠিকভাবে মানলে কোনো নারীকে সারাজীবন সন্তানের জন্ম দিয়ে যেতে হবে, এটা কি মানুষের জীবন, না পশুর জীবন ?
বোরকা পড়ে বস্তায় বন্দী হওয়ার ব্যাপারটা তো আছেই। তোরা মনে করিস, বোরকা পরা ভালো, এতে পুরুষের কুদৃষ্টি থেকে নিজেকের রক্ষা করা যায়। আচ্ছা বলতো, চরিত্রহীন মুসলমান পুরুষদের মনকে কন্ট্রোল করার ভার মেয়েদেরকে নিতে হবে কেনো ? সভ্য শালীন পোষাক, যা পৃথিবীর সব দেশে চলে, সে রকম পোষাক প'রে শরীরে প্রকৃতির আলো বাতাস লাগানোর অধিকার কি আমার নেই ? যতই বোরকা পর বা শালীন পোষাক পর, কোনো মুসলমান পুরুষের সামনে গেলে ওরা যেভাবে মেয়েদের দিকে তাকায়, সাধারন ড্রেস পরে কোনো হিন্দু ছেলেদের সামনে গেলেও ওরা সেভাবে তাকায় না, তাহলে কাদের চরিত্র ভালো ?
স্বামীর ইচ্ছা হলেই নাকি তাকে দেহ ভোগ করতে দিতে হবে (মুসলিম ৮/২০/৩৩৬৬), আর সে যেভাবে খুশি সেভাবে ভোগ করবে (কোরান- ২/২২৩), ইসলামে মেয়েদের ইচ্ছা অনিচ্ছার কোনো মূল্য আছে ?
তোদের নবী, মেয়েদের মনে করতো অশুভ এবং ক্ষতিকর (বুখারি, ৭/৩০, ৩৩), সেটা জানিস ?
তোদের নবী বলেছে, মেয়েদেরকে মাখতে হবে গন্ধবিহীন পারফিউম (সুনান আবু দাউদ, ৩২/৪০৩৭) । এটা কি সম্ভব যে পারফিউম গন্ধবিহীন হবে? এই লোকটাকে তোরা নবী বলে মানিস কিভাবে ?
আরো বলবেন, তোদের মধ্যে এই যে পারিারিক বিয়ে (কোরান, ৩৩/৫০), চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো ভাই বোনকে, এটা কি বিজ্ঞানসম্মত ? আমি নিশ্চিত তোর কোনো না কোনো কাজিন তোকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখছে, আর তোকে কামনা করে রাতে …., থাক আর বললাম না। কিন্তু আমার সকল কাজিন আমাকে বোনের মতোই দেখে। তাহলে কাদের কালচার শ্রেষ্ঠ ? মুসলমানদের, না হিন্দুদের ?
আরো বলবেন, তুই যদি কখনো রেপ হোস, তাহলে ইসলামী আইনে কি তুই তার বিচার পাবি ? ৪ জন পুরুষ সাক্ষীকে তুই কি যোগাড় করতে পারবি, যারা তোকে রেপ হতে দেখেছে ? (কোরান, ৪/১৫)। আর এটা কি সম্ভব, কাউকে সাক্ষী রেখে কোনো মেয়ের পক্ষে ধর্ষিতা হওয়া ? এর পরও কি তোর মনে হয় ইসলাম কোনো বাস্তব ধর্ম ?
আরো বলুন, তুই কি জানিস, ইসলাম তোর স্বামীকে তোর বাড়ির কাজের মেয়ের সাথে সেক্স করার অধিকার দিয়েছে ? (কোরান, ৩৩/৫২)। এটা কি তুই সহ্য করতে পারবি ? কোনো মেয়ে এটা সহ্য করতে পারে ? এরকম জঘন্য একটি ধর্মকে তুই আমাকে গ্রহণ করতে বলছিস !
আরো বলুন, শুনেছি, ইসলামে গান শোনা, ছবি আঁকা, ছবি তোলা, কবিতা লিখা ও খেলাধুলা করা হারাম। এগুলো কি কোনো ক্ষতিকর জিনিস ? ইসলামে এগুলো নিষিদ্ধ কেনো ? আমি গান গাইতে চাই, শুনতে চাই, ছবি তুলতে চাই, ছবি আঁকতে চাই, কবিতা লিখতে চাই, খেলাধুলাও করতে চাই, বোরকায় বন্দী হয়ে থাকতে চাই না, সুতরাং ইসলাম আমার জন্য নয়।
আরো বলুন, তুই কি জানিস,
ইসলাম,মুসলমানদেরকে, বিনা কারণে অমুসলিমদের ধন সম্পত্তি লুঠ করতে, তাদেরকে হত্যা করতে এবং মেয়েদেরকে ধরে এনে ধর্ষণ করার অনুমতি দিয়েছে ? (কোরান- ৪/২৪, ৮/১, ৮/৪১, ৮/৬৯)। যে ধর্মে এসব অমানবিক নির্দেশ থাকে, সেটাকে তোর কিভাবে সভ্য বলে মনে হয় ?
শেষ একটা আক্রমন যে প্রসঙ্গে করতে পারে, সেটা হলো, ইসলাম গ্রহন না করলে তো তুই বেহেশতে যেতে পারবি না। জবাবে মাথা ঠাণ্ডা রেখে বলুন, তুই কি জানিস বেহশেতের রূপ কী ? বেহেশতে গিয়ে পুরুষরা কী করবে ? আর সেখানে মেয়েদের কাজ কী হবে ? এমনিতে মুসলিম মেয়েদের বেহেশতে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, তারপরও ধরে নিলাম, তোর স্বামীর সাথে তুই বেহেশতে গেলি, বেহেশতে তোর স্বামী পাবে কমপক্ষে ৭২টা হুর, হুর বুঝিস তো ? স্বর্গের বেশ্যা। আর কিছু গেলমান, গেলমান বুঝিস তো ? হিজড়া। তোর স্বামী ওদেরকে নিয়ে দিন রাত ফুর্তি করবে, আর তোকে সেটা বসে বসে দেখতে হবে। সহ্য করতে পারবি তো ? শুধু বসে বসে দেখা ই নয়, তোর স্বামী কার পর কাকে বিছানায় নিচ্ছে সেই হিসেব ও কিন্তু তোকে রাখতে হবে। এখন বল, বেহেশতে এত সুন্দরীকে পেলে তোর স্বামী কি তোর দিকে ফিরে তাকাবে ? এরপরও তুই কি বেহেশতে থাকতে পারবি ?
এত কথা শোনার এনার্জি আমার মনে হয় না কোনো মুসলমানের থাকবে, কিন্তু যখন যুদ্ধে নামা, তখন বেশি অস্ত্র নিয়ে নামা ই ভালো। যেগুলো বলেছি তার থেকে প্রসঙ্গ মতো ৩/৪ টা পয়েন্ট তুলে ধরতে পারলেই দেখবেন লেজ গুটিয়ে পালাবে বা বলবে, তোকে একদিন বড় হুজুরের কাছে নিয়ে যাবো, উনি তোকে এগুলোর জবাব দিতে পারবেন, যদি এই কথা বলে, তাহলেই বুঝবেন, আপনার জয় হয়েছে।
এই পুরো পোস্ট আমি লিখেছি একজন নারীর জবানীতে। কিন্ত এর মানে এই নয় যে, পুরুষেরা এভাবে জবাব দিতে পারবেন না। বিষয়গুলো জেনে নিয়ে জায়গা মতো প্রয়োগ করবেন, দেখবেন জয় আপনার নিশ্চিত। এছাড়াও যে ধরণের প্রশ্নের মুখে আপনার পড়েন, সেগুলো আমাকে জানাবেন, আমি তার উত্তর জানিয়ে দেবো।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রী কৃষ্ণ।
------------------------------------------------------
উপরে যে রেফারেন্সগুলো দিয়েছি, সেগুলো দেখে নিন নিচে-
সম্পত্তি ভাগ : পুরুষের অংশ ২ জন মেয়ের সমান। -( কোরান, ৪/১১)
বিয়ের সম্মতি :
কুমারী বালিকার সম্মতি চাইতে হবে এবং নীরবতাই তার সম্মতি। (মুসলিম শরীফ, ৩৩০৭)
বন্ধ্যা নারীকে বিয়ে করা নিষেধ :
মালিক ইবনে ইয়াসার বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি নবীকে বললো, একটা উচ্চ বংশের সুন্দরী মেয়ে আছে, কিন্তু সে বন্ধ্যা। আমি কি তাকে বিয়ে করতে পারি ? নবী বললেন, না। সে নবীর কাছে আবার এলে নবী তাকে নিষেধ করলেন। সে তৃতীয়বার এলে নবী তাকে বললো, সেই মেয়েদের বিয়ে করো, যারা প্রেমময়ী ও উৎপাদন শীল। কারণ, আমি তোমাদের দিয়ে সংখ্যায় অন্যদের পরাস্ত করবো। ( সুনান আবুব দাউদ, ১১/২০৪৫)
দেবর-ভাশুরের সাথে সম্পর্ক :
নারীর নিকট স্বামীর ভাই মরন সদৃশ। (Sahih Bukhari 7:62:159)
হিলা বিবাহ :
অতঃপর (তৃতীয়বার) সে যদি তাকে তালাক দেয়, সে আর তার জন্য বৈধ হবে না, যে পর্যন্ত সে অন্য ব্যক্তির সাথে বিবাহিত হবে। তারপর সে তাকে যদি তালাক দেয় এবং যদি উভয়ে মনে করে যে, তারা আল্লার সীমারেখা রক্ষাকরতে সমর্থ হবে,তবে তাদের পুনর্মিলনে অপরাধ হবে না।- (কোরান, ২/২৩০)
“না তা তুমি পারো না, যতক্ষণ না তোমার নতুন স্বামী তোমার মাধুর্য উপভোগ করছে এবং তুমি তার মাধুর্য উপভোগ না করছো। - (মুসলিম, ৩৩৫৪)
স্ত্রীকে প্রহার :
কোনো পুরুষ কোন কারণে তার স্ত্রীকে প্রহার করেছে, সে ব্যাপারে তাদেরকে কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে না।- (বুখারি, ৮/৮২/৮২৮)
নারীর নেতৃত্ব :
সে জাতি কখনোই সফলকাম হবে না, যারা তাদের শাসনভার কোনো নারীর হাতে অর্পন করে। (বুখারি, ১০/৬৬১৮)
সেক্সে নারীর অনিচ্ছার ফল :
যে নারী তার স্বামীর আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ঘুমায় এবং তার স্বামী অসন্তষ্ট হয়ে রাত্রি যাপন করে, সেই নারীকে ফেরেশতারা সারা রাত্রি ধরে অভিশাপ দেয়।- (মুসলিম, ৮/২০/৩৩৬৬)
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের শস্যক্ষেত্র , তাই তাতে যেভাবে খুশি গমন কর।- (কোরান, ২/২২৩)
নারী অশুভ ও ক্ষতিকর :
তিন জিনিসের মধ্যে অশুভ আছে, নারী বাড়ি আর ঘোড়া। (বুখারি- ৭/৩০)
আমার পর পুরুষের জন্য নারীর চেয়ে ক্ষতিকর কিছু আর রইলো না। -(বুখারি, ৭/৩৩)
গন্ধবিহীন সুগন্ধি:
The perfume used by men should have an odour but no colour, and the perfume used by women should have a colour but no odour. Sunan Abu-Dawud, Book 32, Number 4037
ইনসেস্ট বিবাহ :
তোমার সেই চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো ও খালাতো ভগ্নীদেরকেও হালাল করেছি, যারা তোমার সাথে হিজরত করে এসেছে।– (কোরান,৩৩/৫০)
ধর্ষিতার শাস্তি :
তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচার করে, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য হতে ৪ জন সাক্ষী তলব করবে, যদি তারা সাক্ষ্য দেয় তবে তাদের গৃহে অবরুদ্ধ করবে যে পর্যন্ত না তাদের মৃত্যু হয়।- ( কোরান, ৪/১৫)
দাসীর সাথে স্বামীর সেক্স :
দাসী ব্যতীত আর কোনো স্বাধীন নারীকে স্ত্রীরূপে গ্রহণ করা বা অন্য কোনো নারীর সঙ্গে পরিবর্তন করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়, যদিও তাদের সৌন্দর্য তাদের মুগ্ধ করে।-( কোরান, ৩৩/৫২)
গনিমতে মাল সম্পর্কিত
তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের উপর অধিকার অর্জন করেছে সেইরূপ নারী ব্যতীত
অন্য কোনো সধবা নারী তোমাদের জন্য বৈধ নয়।- (কোরান, ৪/২৪)
এই গনিমতের মাল তো আল্লা এবং তার রসূলের। - (কোরান, ৮/১)
আর তোমরা জেনে রাখো যে, তোমরা যে গনিমতের মাল লাভ করেছো, তার এক পঞ্চমাংশ আল্লাহ, তার রসূল এবং আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম মিসকিন ও পথিক মুসাফিরদের জন্য নির্দিষ্ট।- (কোরান, ৮/৪১)
অতএব তোমরা যা কিছু ধন মাল লাভ করেছো, তা খাও, তা হালাল এবং তা পবিত্র।- (কোরান, ৮/৬৯)
গান-বাজনা-ছবি আঁকা সংক্রান্ত হাদিস:
কবিতা থেকে পুঁজ উত্তম । (Sahih Muslim 28:5611)
বানর আর শুকর মানেই যারা পূর্বে বাধ্যযন্ত্র বাজাতো। (Sahih Bukhari 7:69:494)
যে রূপ পনি শস্য উৎপাদন করে, তদ্রুপ গান কপটতা জন্মায়।
যে ঘরে কুকুর ও ছবি আছে, সেই ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না।
নিশ্চয় জানিও আল্লার নিকটে তথা আখেরাতে সর্বাধিক কঠিন আজাব হবে ছবি তৈরি কারকদের।
যদি কেহ জীবজন্তুর ছবি অংকন করা হারাম জানা সত্ত্বেও উহা অংকন করে তবে সে কাফের হইয়া যায়।
মারহাবা।

ইসলামে নারীদের সম্মান

ইসলাম নারীর কেমন মর্যাদা দেয় দেখা যাক –
১ নারীর অবস্থান পুরুষের নিচে (Quran 4:34, 2:228)
২ তাদের মর্যাদা পুরুষের অর্ধেক (Quran 2:282, 4:11 Sahih Bukhari 3:48:826, 1:142)
৩ নারী পুরুষের যৌন দাসী (Ibn Hisham-al-Sira al-nabawiyya, Cairo, 1963)
৪ তারা পুরুষের অধিকৃত সম্পত্তি (Sahih Bukhari 5:59:524)
৫ তারা কুকুরের সমতুল্য (Sahih Bukhari 1:9:490, 1:9:493, 1:9:486 Sahih Muslim 4:1032, 4:1034, 4:1038-39 Abu Dawud 2:704)
৬ ভালোবাসার অযোগ্য (Sahih Bukhari 7:62:17 Abu Dawud 41:5119)
৭ তাদের বন্ধক রাখা যায় (Sahih Bukhari 5:59:369)
৮ রজ্বচক্র চলাকালীন তারা অপবিত্র (Quran 2:222 Al-Tabari Vol.1 p.280) হজ্ব করার অযোগ্য (Sahih Bukhari 1:6:302)
৯ তারা নিকৃষ্ট (Sahih Bukhari 9:88:219) বুদ্ধিহীন (Sahih Bukhari 2:24:541) অকৃতজ্ঞ (Sahih Bukhari 1:2:28) খেলার পুতুল (Al-Musanaf Vol.1 Part 2 p.263) হাড়ের মত বক্রতা যুক্ত (Sahih Muslim 8:3466-68 Sahih Bukhari 7:62:113, 7:62:114, 4:55:548)
১০ তারা পুরুষের চাষযোগ্য ক্ষেত্র (Quran 2:223 Abu Dawud 11:2138)
১১ তারা শয়তানের রূপ (Sahih Muslim 8:3240)
১২ তাদের মাঝে নিহিত আছে যাবতীয় খারাপ (Sahih Bukhari 4:52:110, 4:52:111)
১৩ তারা বিশ্বাস ঘাতক (Sahih Bukhari 4:55:547)
১৪ পুরুষের জন্যে ক্ষতিকারক (Sahih Bukhari 7:62:33)
১৫ নেত্রিত্ব দেওয়ার অযোগ্য (Sahih Bukhari 9:88:219)
১৬ প্রার্থনা ভঙ্গ হওয়ার কারন (Sahih Bukhari 1:9:490, 1:9:493)
১৭ স্বামীর যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে তারা বাধ্য (Sahih Muslim 8:3368)
১৮ পুরুষ কত্রিক ধর্ষনের অনুমোদন (Quran 70:29-30 Abu Dawud 11:2153, 31:4006 Sahih Bukhari 5:59:459 Sahih Bukhari 8:77:600, 8:3432, 8:3371)
১৯ স্বামীর বাধ্য না হলে তাদের প্রার্থনা গৃহিত হবে না (Muslim Scholar Al-Suyuti while commenting on Quran 4:34 Mishkat al-Masabih Book I, Section ‘Duties of husband and wife’, Hadith No. ii, 60)
২০ পুরুষ পারবে চারজন নারীকে বিয়ে করতে (Quran 4:3)
২১ তালাকের অধিকার রয়েছে শুধু পুরুষেরই (Sahih Bukhari 8:4871-82 Mishkat al-Masabih, Book 1, duties of parents, Hadith No. 15)
২২ স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার অধিকার রয়েছে পুরুষের (Quran 4:34 Sahih Muslim 4:2127) যার কারনে কোন জবাব চাওয়া হবে না (Abu Dawud 11:2142)
২৩ বেহেস্তে পুরুষের জন্যে রয়েছে বহু (Virgin) রমনী সম্ভগের ব্যাবস্থা (Quran 33:48, 44:51-54, 55:56-58, 78:31-35 Ibn Kathir Tafsir of 55:72 Sahih Muslim 40:6795, 40:6796 Sahih Bukhari 4:54:476 Al-Tirmidhi, Sunan. Vol. IV Chap. 21 Hadith: 2687 Sunan Ibn Maja, Zuhd-Book of Abstinence 39)
২৪ শুধুমাত্র নীরবতাই তাদের বিয়ের সম্মতি (Sahih Bukhari 9:86:100, 9:86:101, 9:85:79)
২৫ স্বামীর অনুমতি ব্যাতিত অন্য পুরুষের কাছাকাছি হওয়া নিষিদ্ধ (Sahih Bukhari 4:52:250)
২৬ তাদের একমাত্র কাজ পুরুষের সেবা করা (Mishkat al-Masabih, Book 1, Duties of Husband and Wife, Hadith Number 62 Mishkat al-Masabih, Book 1, duty towards children Hadith Number 43)
২৭ সর্বদা নিজেদের আবদ্ধ রাখতে হবে পর্দায় (Sahih Bukhari 5:59:462, 6:60:282)
২৮ মৃত্যুর পর তাদের অধিকাংশের জন্যে রয়েছে দোজখের আগুন (Sahih Muslim 36:6596, 36:6597 Sahih Bukhari 7:62:124, 1:2:29, 7:62:124, 2:18:161)
এর পরেও কি মনে হয় ইসলাম আপনাকে (for women) দেয় সামান্যতম সন্মান ?