রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২

সবাই হিন্দু

 




Who is Muslim বা কে মুসলমান ? সবাই তো হিন্দু :

(এই প্রবন্ধটি #সুলতান_মাহমুদ_গজনবী এর উদ্দেশ্যে নিবেদিত।)


যখনই কোনো মুসলমান আপনার সামনে এসে ধর্ম নিয়ে চুলকানো শুরু করবে, মানে আপনাকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া শুরু করবে বা সেরকম কোনো ইঙ্গিত দিতে চাইবে, এমন কিছু বুঝতে পারলেই সেই মুসলমানকে বেশি সময় না দিয়ে প্রশ্ন করবেন- আচ্ছা, আপনি কি গান শোনেন ? বাসায় বা বাড়িতে টিভি আছে ? কোনো দিন ছবি তুলেছেন ?


এই প্রশ্নগুলোর উত্তর ৯৯.৯৯% এক্ষেত্রে ‘হ্যাঁ’ হবেই। যখনই বলবে- হ্যাঁ; তখনই প্রশ্ন করবেন, আপনি কি নিজেই মুসলিম ?


মুসলমানটি বলতে পারে, তার মানে ? কী বলছেন এসব ? আমি মুসলিম নই মানে কী ? ইত্যাদি ইত্যাদি আরও কিছু…


এতে উত্তেজিত না হয় মাথা ঠাণ্ডা করে বলবেন- আপনি কি জানেন, ইসলামে গান গাওয়া বা শোনা হারাম, ছবি দেখা বা ছবি তোলা হারাম ?


এগুলো সবাই জানে, তাই কোনো মুসলমান এগুলো অস্বীকার করতে পারবে না।


তারপর বলবেন, নিজেই ইসলামের কিছু মানতে পারেন না, আবার আমার কাছে এসেছেন ইসলামের দাওয়াত দিতে ? আগে নিজে খাঁটি মুসলমান হন, তারপর আমার কাছে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে আসবেন, বুঝেছেন ?


দেখবেন মুসলমানটির ধর্ম নিয়ে চুলকানি বন্ধ হয়ে গেছে।


এরপর সিচুয়েশন অনুকূলে থাকলে বলবেন, আমার ধর্ম এগুলোর কোনোটিই আমাকে করতে নিষেধ করে নি; কারণ, হিন্দু ধর্ম হলো বাস্তবতার ধর্ম, আর বাস্তবতা এটাই যে- মানুষ গান গাইবে, গান শুনবে; ছবি তুলবে, ছবি আঁকাবে, ছবি দেখবে; টিভিতে নাটক-সিনেমা-নাচ-গান দেখবে।


মানুষ হিসেবে জন্ম নেওয়ায় যেকোনো মানুষ এগুলো করতে বাধ্য এবং বাধ্য আপনারা মুসলমানরাও, তাহলে যা করতে বাধ্য হচ্ছেন, তা আপনাদের ধর্মে নিষেধ কেনো ? মানুষ যা বিশ্বাস করে, তাই তার ধর্ম; আর মানুষ যা পালন করে বা করতে বাধ্য হয় তাই কালচার বা সংস্কৃতি; তাহলে মানুষের ধর্ম ও সংস্কৃতির মধ্যে মিল থাকবে না কেনো ? হিন্দু ধর্ম এবং হিন্দু সংস্কৃতির মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। তাহলে ইসলাম ধর্ম এবং মুসলমানদের সংস্কৃতির মধ্যে এত পার্থক্য কেনো ?


এরপর বলবেন, বলতে পারেন, যারা ইসলামের বিধান মানে না, তারা সহীহ মুসলমান নয়, তাহলে আপনি কি সহীহ মুসলমান ? আপনি কি ইসলামের সব বিধান মেনে চলতে পারেন ? পারেন না । তাহলে আপনি কিভাবে নিজেকে মুসলমান বলে পরিচয় দেন ? আর সেই ইসলামের দাওয়াত আবার অন্যকে দিতে এসেছেন ?


পৃথিবীর সকল শিল্প সংস্কৃতির কোনোটিই হিন্দু বা সনাতন ধর্মে নিষিদ্ধ নয় এবং যে ব্যক্তি, যে ধর্মেই বিশ্বাস করুক না কেনো, তাকে এই সব শিল্পের চর্চা কারণে বা অকারণে এবং প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে করতেই হবে; একারণেই হিন্দু ধর্ম হলো বাস্তবতার ধর্ম এবং এই বাস্তবতা মানুষকে মেনে চলতে হয় বলেই হিন্দু ধর্মের অপর নাম সনাতন মানব ধর্ম; কারণ, মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়ে মানুষকে যা করতে হয় এবং মানুষের যা করা উচিত তার বিধিবদ্ধ সংবিধানই হলো সনাতন ধর্ম।


এখন বলতে পারেন, সনাতন ধর্মের বিধি বিধান ই যদি সকল মানুষের জন্য পালনীয় ধর্ম হয়, তাহলে হিন্দু ধর্মের এই সব পূজা-পার্বন, এগুলো কী ?


-এগুলো উৎসব, এগুলো কোনো ধর্ম নয়। পৃথিবীর কোনো ধর্মের পালনীয় কোনো উৎসবই পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য ধর্ম নয়, সেই কারণে কোনো উৎসবই ধর্মের অপরিহার্য অংশ নয়; ধর্ম হলো মানুষের সাথে মানুষের ন্যায্য আচরণের সমষ্টি; আর এই ন্যায্য আচরণ হলো অন্যের সম্পদের প্রতি লোভ না করা এবং অন্যের স্ত্রী কন্যাদের দিকে দৃষ্টি না দেওয়া; আর এই দুই কথা ই বলা আছে সনাতন ধর্মে, ঠিক এই ভাবে-


“পরদ্রব্যেষু লোষ্ট্রবৎ”


অর্থাৎ, পরের দ্রব্যকে মাটির ঢেলার মতো জানবে।


এবং


“মাতৃবৎ পরদারেষু, কন্যাবৎ পরকন্যাষু”


অর্থাৎ, পরের স্ত্রী কন্যাদের মায়ের মতো দেখবে।


পৃথিবীর আর কোন ধর্ম কি মানবতার এই মহান কথা বলতে পেরেছে ? আপনার ইসলাম কি বলতে পেরেছে ? পারে নি। এজন্যই সনাতন ধর্ম হলো মানুষের ধর্ম এবং এ কথাও বলা আছে হিন্দু শাস্ত্রে, ঠিক এই ভাবে-


“এষঃ ধর্মঃ সনাতনঃ”


অর্থাৎ , মানুষের ধর্ম হোক সনাতন ।- (মনুসংহিতা)


মানব শিশু, সে যে ব্যক্তিমতের ধর্ম বিশ্বাসীর ঘরেই জন্ম গ্রহন করুক না কেনো, তার জন্ম হয় খতনা বিহীনভাবে অর্থাৎ সনাতন ধর্মের উপরে এবং তার মধ্যে কিছু না কিছু স্বাভাবিক শিল্প প্রতিভা থাকবেই, এজন্যই হিন্দু শাস্ত্র বলা হয়েছে-


“সনাতন মানবধর্মমূলং হি প্রকৃতি”

অর্থাৎ, মানুষ প্রকৃতিগতভাবে সনাতন ধর্ম নিয়েই জন্মগ্রহণ করে।


অথচ আপনারা মুসলমানরা, এই কথাকেও গায়ের জোরে দখল করে বলেন,


“মানব সন্তান জন্মগ্রহন করে ইসলামের উপরে, পরে তার কাফের পিতা মাতা তা্কে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত করে।”


যদি এটা সত্য হয়, তাহলে ইসলামের জন্ম পৃথিবীর শুরু থেকে না হয়ে ৬১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে হলো কেনো ? ইসলামের আবির্ভাবের পর ১৪০০ বছর গত হলেও এখনো কেনো কোনো পুরুষ শিশু খতনাসহ জন্ম নিচ্ছে না বা কেনো সকল প্রকার শিল্প চর্চা মুসলিম পরিবারে নিষিদ্ধ হলেও, মুসলিম পরিবারের শিশুরা সেই সব শিল্পের প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহন করেছে বা করে ?


এছাড়াও ইসলামের দাওয়াতকারী যদি কোনো মেয়ে হয় এবং যদি দেখেন যে, সেই মেয়ের পরণে বোরকা হিজাব নাই, তাহলে তাকে উপরের বিষয়গুলো বলার আগে এ্যাটাক করবেন এইভাবে- আপনি যে পোষাক প’রে আছেন, সেজন্যই তো আপনি মুসলমান নন; আর যদি সেই মহিলা বিবাহিত হয়, তাকে জিজ্ঞেস করবেন, বাসায় কি শাড়ি পরেন ? যদি বলে হ্যাঁ, তাহলে বলবেন, আপনি তো হিন্দু কালচার পালন করেন, তাহলে কিভাবে আপনি মুসলমান ? আর নিজে মুসলমান না হয়ে অন্যকে ইসলামের দাওয়াত দিতে এসেছেন ?


এরপর মহিলা বলতে পারে কিভাবে আমি মুসলমান নই ? বলবেন, শাড়ি পৃথিবীতে একমাত্র হিন্দু বিবাহিতা নারীদের পোষাক, মুসলমানদের পোষাক নয়, তাহলে আপনি শাড়ি প’রে কিভাবে মুসলমান থাকেন ? রেফারেন্স হিসেবে আরও বলবেন, কোনো সৌদি নারীকে কী কখনো শাড়ি পরতে দেখেছেন ?


এরপর দেখবেন, সে কোন ফাঁদে পড়েছে ?


এরপরও যদি সে বলে, সাজ পোষাকে তো ধর্ম থাকে না, ধর্ম হলো মনের বিশ্বাসের ব্যাপার।


তখন বলবেন, সাজ পোষাকে যদি ধর্ম না ই থাকে, তাহলে শাঁখা সিঁদুর পরেন না কেনো ?


এরপর দেখবেন, সকল প্রকার চুলকানি একদম বন্ধ হয়ে গেছে, টোটালি অফ।


আর যদি এমন কোনো মেয়ে আপনাকে ইসলামের দাওয়াত দেয়, যে নিজেই নাচ-গান-কবিতা লিখা বা কোনো একটা শিল্প চর্চার সাথে জড়িত, তাহলে তাকে ঝাড়বেন, এই পোস্টের শুরু থেকে যেভাবে বলেছি, ঠিক সেভাবে। হাদিস কোরানের কোনো রেফারেন্স মনে থাক বা না থাক, এটা মাথার মধ্য রাখবেন যে, ইসলামে সকল প্রকার শিল্পচর্চা নিষিদ্ধ এবং এই কথাটা জোর দিয়েই বলবেন।


শুধু তাই নয়, এখন যে রং বেরং এর ফ্যাশনেবল বোরকা নেমেছে, যা পরলে সেই বোরকার সৌন্দর্যের কারণে, কোনো পুরুষের দৃষ্টি সেই মেয়ের দিকে আকৃষ্ট হয়, এমন বোরকা পরাও ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম; কারণ, বোরকার আবির্ভাব ঘটানোই হয়েছিলো এজন্য যে, যাতে মুসলিম মেয়েরা পুরুষের দৃষ্টির আড়ালে থাকে এবং শুরু থেকেই মুসলিম পুরুষদের পোষাক সাদা হলেও, বোরকার রং ছিলো কালো একারণেই যে, স্বাভাবিকভাবেই কালো জিনিসের প্রতি মানুষের দৃষ্টি কম আকর্ষিত হয় বা হয় ই না; যেহেতু মুহম্মদ কিছুতেই চায় নি যে, কোনো নারীর শরীরের দিকে কোনো পুরুষ কোনোভাবে বা কোনো কারণে তাকাক।


উপরের এই সব আলোচনার পর এই প্রশ্ন করতে পারলে করবেন যে, এই ঘটনাগুলো কী প্রমান করে যে ইসলাম কোনো সত্য ধর্ম ?


যা ই হোক, আলোচনার পরিসমাপ্তি টানবেন এভাবে- এখন তো নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে, ধর্ম বিশ্বাসের জোরে আপনারা নিজেকে মুসলমান বলে পরিচয় দিলেও, প্রকৃতপক্ষে কালচার বা সংস্কৃতির দিক থেকে আপনারা কেউ ই মুসলমান নন, সবাই হিন্দু ? তার মানে হলো আপনারা নিজেদেরকে মনে করেন মুসলমান, কিন্তু পালন করেন হিন্দু কালচার; কিন্তু আমরা হিন্দুরা, প্রতিদিনের জীবন যাত্রায়, এক বিন্দুও, কোথাও কোনো কারণে, অন্য ধর্মের কালচার পালন করি না, যা করি তা নিজেদের নিজস্ব- সনাতন ধর্মের কালচার পালন করি। এখন বলেন, আমি ১০০% হিন্দুত্বকে বাদ দিয়ে ১০% মুসলমান হবো, না আপনি ১০% মুসলমানিত্ব বাদ দিয়ে ১০০% হিন্দু হবেন ? কেননা, আপনি নামে এবং নামায-রোযায় মুসলমান হলেও, প্রতিদিনের জীবন যাত্রায় বাকি অন্য যা কিছুর চর্চা বা পালন করেন, তার ৯০% ই তো হিন্দু কালচার।


এরপর আপনাকে আর কিছু বলতে হবে না, দেখবেন মুসলমানটি শুয়োরের গু মুখে ভরে চুপ ক’রে থাকার মতো কেমন চুপ করে আছে।


জয় হিন্দ।

জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।


বি.দ্র : এভাবে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর সবাইকে আমি সনাতন ধর্মে দীক্ষিত করতে পারি, অবশ্য যদি তারা চাপাতি-তরোয়াল-গুলি-বোমা ছেড়ে যুক্তি তর্কের লাইনে আসে।

খতনার ইতিহাস

 







খতনা ও কুরবানির প্রকৃত ইতিহাস:


নবী ইব্রাহিম ও তার স্ত্রী সারা, মিশর ভ্রমণকালে, মিশরের রাজা তাদেরকে হাজেরা নামের এক দাসী উপহার দেয়। উপহার হিসেবে দাসী ! চিন্তা করুন। নবী মুহম্মদ যে দাসীদের ভোগ করতে বলেছে এবং সে নিজে তার উপহারপ্রাপ্ত দাসী মারিয়ার পেটে ইব্রাহিম নামের এক পুত্রের জন্ম দিয়েছিলো- সেটা কিন্তু এমনি এমনি না; এটা এক সুদীর্ঘ উত্তরাধিকার। যা হোক দাসী হাজেরার প্রতি ইব্রাহিমের অতিরিক্ত আগ্রহ দেখে, সারা, হাজেরার সাথে ইব্রাহিমের বিয়েই দিয়ে দেয় অথবা ইসমাইল নিজেই হাজেরাকে বিয়ে করে ফেলে, যেটা সারাকে মেনে নিতে হয়। কিন্তু স্বামীকে ভাগ করার কিছুদিনের মধ্যেই সারার মধ্যে হাজেরার প্রতি ঈর্ষা জেগে উঠে, হাজেরার সন্তান হওয়ার পর এই ঈর্ষা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠে এবং সারা, ইব্রাহিমকে বাধ্য করে, হাজেরা ও তার পুত্র ইসমাইলকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করতে। শেষ পর্যন্ত ইব্রাহিম, ইসমাইল ও হাজেরাকে অল্প কিছু খাদ্য-পানীয় দিয়ে মরুভূমির মধ্যে রেখে আসে এবং সারাকে কথা দেয় সে কোনোদিন ইসমাইল ও হাজেরাকে দেখতে পর্যন্ত যাবে না।


কাহিনী দেখে বোঝা যাচ্ছে, ইব্রাহিমের উপর সারার যথেষ্ট প্রভাব ছিলো এবং ইব্রাহিম ছিলো সারার বশীভূত। না হলে কী কারণে সদ্যজাত শিশুপুত্রসহ যুবতী স্ত্রীকে কেউ মরুভূমির মধ্যে রেখে আসবে ? কিন্তু যুবতী স্ত্রী ও শিশু পুত্রের চিন্তায় ইব্রাহিমের আর ঘুম হয় না। গোপনে সে তাদের দেখতে যায়, এই খবর সারার কাছে পৌঁছলে সারা ইব্রাহিমের উপর চাপ সৃষ্টি করে। তখন ইব্রাহিম বলে, '‌আমি যদি হাজেরা ও ইসমাইলকে দেখতে গিয়ে থাকি এবং সেটা যদি তুমি প্রমাণ করতে পারো - বর্তমানে আমরা যেমন এই রকম অবস্থায় বলি, কান কেটে ফেলবো; ঠিক তেমনি ইব্রাহিম বলেছিলো -আমার লিঙ্গ কেটে ফেলবো'। সারাও দমবার পাত্রী নয়, অনুচরের মাধ্যমে সে ঠিকই প্রমাণ করে যে, ইব্রাহিম, হাজেরা ও ইসমাইলকে দেখতে মরুভূমিতে গিয়েছিলো। এরকম চাক্ষুষ প্রমাণে অপমানিত হয়ে ইব্রাহিম নিজের হাতে থাকা কুড়াল দিয়ে নিজের লিঙ্গ কেটে ফেলতে উদ্যত হয়, তখন সারা কিছুটা কনসিডার করে বলে, ঠিক আছে, পুরোটা কাটতে হবে না, কিন্তু তুমি যে আমার সাথে মিথ্যা বলে প্রতারণা করেছো, তার সাক্ষ্য স্বরূপ তোমাকে ওটার কিছু অংশ কাটতে হবে। তার পর ইব্রাহিম নিজের লিঙ্গের অগ্রচর্ম কেটে ফেলে ও পরে যখন ইসমাইলকে বাড়িতে আনতে সমর্থ হয় তখন ইসমাইলেরও লিঙ্গঅগ্রচর্ম কেটে পরবর্তী বংশধরদের সবার এরূপ করার নির্দেশ দেয়। এক লেজকাটা শেয়ালের অন্য সবার লেজাকাটার চেষ্টা আর কি। এই কারণেই ইব্রাহিম পরবর্তী মুসা ও ঈসার অনুসারীরা খতনা করে যাচ্ছে। আসলে এটা এক স্ত্রীর সাথে তার স্বামীর বিশ্বাসঘাতকতার নিদর্শন।


যা হোক, লিঙ্গ কাটতে বাধ্য হওয়ার পর স্ত্রী ও পুত্রের চিন্তায় ইব্রাহিম আরো ছটফট করতে থাকে এবং ঘুমের মাঝে উল্টা পাল্টা স্বপ্ন দেখতে থাকে, যেটা খুবই স্বাভাবিক। আগে থেকেই নবী হিসেবে ইব্রাহিমের কিছু পরিচিতি ছিলো এবং সে যে আল্লার নাম ভাঙিয়ে কিছু বললে, লোকে সেটা বিশ্বাস করবে, তাও সে বুঝতে পেরেছিলো। তাই এই স্বপ্নকে হাতিয়ার করেই ইব্রাহিম, সারাকে বোকা বানিয়ে ইসমাইল ও হাজেরাকে বাড়িতে নিয়ে আসার ফন্দি আঁটে। ঘুম থেকে জেগে হঠাৎ হঠাৎ বলতে থাকে, আল্লা আমাকে আমার প্রিয় জিনিস কুরবানি করতে বলেছে। এরপর একের পর এক উট, দুম্বাসহ নানা কিছু কুরবানি করা হয়, কিন্তু ইব্রাহিমের স্বপ্ন দেখা আর থামে না। আল্লাও বলে না ইব্রাহিমের প্রিয় জিনিসের নাম আর ইব্রাহিমও তা বুঝতে পারে না। আসলে এসবের মাধ্যমে ফাইনাল কথা প্রকাশ করার আগে ইব্রাহিম একটু পরিবেশ তৈরি করছিলো আর কি। শেষে ইব্রাহিম সারাকে বলে আমার পুত্র ইসমাইল ই আমার সবচেয়ে প্রিয়, তাকেই কুরবানি করবো। সারা চিন্তা করে দেখে, এতে তো ভালোই হবে; ইসমাইল মরলে তার তো কোনো ক্ষতি হবে না, উল্টো তার সতীন হাজেরা কষ্ট পাবে। তাই সারা তাতে সম্মতি দেয় এবং ইব্রাহিম গিয়ে ইসমাইল ও হাজেরাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনে। বাড়িতে আনার আগেই হাজেরা ও ইসমাইলকে ইব্রাহিম সব প্ল্যান খুলে বলে। এর ফলে কুরবানির প্রসঙ্গ উঠতেই ইসমাইল এক বাক্যে রাজি হয়ে যায় এবং তাকে তাড়াতাড়ি কুরবানি করতে বলে, আর হাজেরাও চুপ থাকে।


এখানে একটি বিষয় চিন্তা করুন; সদ্যজাত শিশু সন্তানসহ যে হাজেরাকে তার স্বামী মরুভুমির মধ্যে নির্বাসন দিয়েছিলো, সেই স্বামী এখন তার সন্তানকে খুন করতে নিয়ে যাচ্ছে, আর হাজেরা কিছু বলছে না, আগে থেকে সব পরিকল্পনার কথা জানা না থাকলে কোন মেয়ে বা মায়ের পক্ষে এই সময় চুপ থাকা সম্ভব ? এরপর ইব্রাহিম, ইসমাইলকে কুরবানি করতে নিয়ে যায়, চোখ বেঁধে তার গলায় তলোয়ার চালায়, কিন্তু গলা কাটে না, রাগে সেই তলোয়ার ছুঁড়ে ফেলে দিলে পাথর টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এমন গাঁজাখুরি ঘটনা বাস্তবে কেউ কোনোদিন শুনেছেন ? এমন কাহিনী শুধু মিথ্যার ভাণ্ডার ইসলামেই সম্ভব। শেষ পর্যন্ত আল্লা ইব্রাহিমের কুরবানি কবুল করে এবং ইসমাইলের জায়গায় ইব্রাহিমের ই একটা দুম্বা কুরবানি হয়ে যায়। ঐ সময় ঐ দুম্বা কোথা থেকে আসবে ? আসলে আগে থেকেই এক চাকরের মাধ্যমে এমন ব্যবস্থা করে রেখে পরিকল্পনা মতো বাড়ি থেকে দূরে একটা মাঠের মধ্যে এই নাটক মঞ্চস্থ করার ব্যবস্থা করেছিলো ইব্রাহিম। এমনও তথ্য পাওয়া যায়, কিছু লোক ইব্রাহিমের চালাকির ঘটনাটা বুঝে যায়, তাদের মুখ বন্ধ করার জন্যই ঐ দুম্বার তিন ভাগের দুই ভাগ মাংস তাদের ঘুষ দেওয়া হয় এবং এক ভাগ ইব্রাহিম নিজের ভাগে রাখে।এজন্যই কুরবানির মাংস এখনও তিনভাগে ভাগ হয় এবং দুই ভাগ বিলিয়ে দেওয়া হয়।


শেষে মুসার একটা গল্প। মুসা আল্লার প্রিয় নবী নয়, তারপরও ¬মুসার সাথে কথা বলার জন্য আল্লা পৃথিবীতে কোনো এক পাহাড়ের উপর নাকি নেমে আসতো। আর মুহম্মদ আল্লার প্রিয় নবী হওয়া সত্ত্বেও মুহম্মদকে আল্লার দেখা পাওয়ার জন্য বোরাক নামক এক কাল্পনিক প্রাণীতে চড়ে সাত আসমান ডিঙিয়ে আল্লার কাছে যেতে হয়েছিলো। যা হোক,এই মুসার কাছে আল্লা নাকি একবার দুটো চোখ চেয়েছিলো। মুসা কারো কাছ থেকে সেই চোখ সংগ্রহ করতে না পেরে আল্লার কাছে ফিরে গিয়ে বলেছিলো, কোথাও তো চোখ পেলাম না। উত্তরে আল্লা বলেছিলো, তোমার নিজের কাছেই তো দুটো চোখ আছে, তুমি অন্য কোথাও খুঁজতে গেলে কেনো ?


এই গল্প এজন্যই বললাম যে, প্রিয় জিনিস বলতে ইব্রাহিমের কাছে তার পুত্রের প্রাণের কথাই কেনো মনে হলো ? মানুষের কাছে কোনটা বেশি প্রিয় ? নিজের প্রাণ না পুত্রের প্রাণ ?


জয় হিন্দ।