মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০

ইসলামে নারীর অধিকার

ইসলামে নারীর অধিকার নিয়ে প্রায় মুমিনরা গলা ফাটিয়ে চিল্লাতে চিল্লাতে বলতে থাকে, একমাত্র ইসলাম ই নারীদের অধিকার ও মর্যাদা দিয়েছে। ভাঙ্গা কেসেট এর মত এরা যাকে পাই বিশেষ করে হিন্দু মেয়ে পাইলে এইধরনের কথা প্রায় মুমিনদের থেকে শুনা যায়। কারন অনেকাংশে হিন্দুমেয়েরা ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ, আর তারা সেই দূর্বলতার সুযোগটা নেই, যাতে ইসলামের গুণকীর্তন করে ইসলামের নামে ভাল দিক প্রমান করতে পারে, আর তাতে অতি সহজে সেইসব হিন্দুমেয়েগুলো বিশ্বাস করতে থাকে। এভাবে একসময় হিন্দু মেয়েটা সেইসব মুমিনদের বিশ্বাস করে নিজের ধর্ম ত্যাগ করতে এরা পিছপা হয়না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এরা সঠিকটা বিবেচনা না করে অতি সহজে ধর্ম পরিবর্তন করে ফেলে, আর সেই কর্মের ফল হিসেবে পাই নির্যাতন ও ভোগ। কারন মুসলিমদের মতে, নারী হচ্ছে ভোগ্যপন্য। এই কথার প্রমান পাবেন নিচে।
ইসলাম মতে নারী হচ্ছে ভোগ্যপন্য, সেই সম্পর্কে কোরআনের ০৭ নং সুরা আরাফ, আয়াত ১৮৯ এখানে বলা হয়েছে,
"তিনিই তোমাদিগকে এক ব্যক্তি হইতে (আদমকে) সৃষ্টি করিয়াছেন ও উহা হইতে তাহার স্ত্রী (হাওয়াকে) সৃষ্টি করেন যাহাতে সে তাহার নিকট শান্তি পায়। অতঃপর যখন সে তাহার সহিত সংগত হয় তখন সে এক লঘু গর্ভধারণ করে এবং ইহা লইয়া সে অনায়াসে চলাফেরা করে। গর্ভ যখন গুরুভার হয় তখন তাহারা উভয়ে তাহাদের প্রতিপালক আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে, " যদি তুমি আমাদিগকে এক পূর্ণাংগ সন্তান দাও তবে তো আমরা কৃতজ্ঞ থাকিবই।"
উক্ত আয়াতে লক্ষ্য করুন বলা হচ্ছে, আদমের শান্তি ও আরাম আয়েশ জন্য হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর সেই শান্তি যে একমাত্র নারীদেরকে সেক্স মেশিন হিসেবে রাখা তা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। অর্থাৎ পুরুষদের মনোরঞ্জন ও শান্তির জন্য সেক্স মেশিন হিসেবে নারীদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে পুরুষদের ভোগের জন্য, এরপর ডজন ডজন বাচ্ছা জন্ম দেওয়া। মানে মুসলিম পুরুষদের কাছে মুসলিম নারীরা হলো শুধুমাত্র ভোগ্যপন্য বস্তু।
যখন এই আয়াতগুলো মুমিনদের বলবেন, তখন এদের কাছে পুরনো সেই ফতোয়া শুনতে পারবেন সেটা হলো, কোরআনে এইসব বলা নাই, কোরআন বুঝার জন্য তাফসীর পড়ার প্রয়োজন, আগে তাফসীর পড়ো। কিন্তু কোরআন এর (৫৪নং সুরা কামার, আয়াত ১৭) বলা হয়েছে, "আমি কোরানকে সহজ করে দিয়েছি বুঝার জন্য। অতএব কোন চিন্তাশীল আছে কি?
এই আয়াত অনুযায়ী আল্লার বক্তব্যে হচ্ছে, কোরানকে সহজে বুঝা যাবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আল্লার কথা সত্য? নাকি মুমিনদের ফতোয়া সত্য?
যাইহোক আমরা তাফসীর থেকেও এই আয়াতের ব্যাখ্যা দেখে নিই এখানে কি বলা আছে?
(ইসলামিয়া কুতুবখানা থেকে প্রকাশিত, তাফসীরে জালালাইন এর, দ্বিতীয় খন্ড, ৫২৬ পৃষ্ঠায়, প্রাসঙ্গিক আলোচনা; এখানে বলা আছে, তিনিই সেই আল্লাহ পাক, যিনি তোমাদের সকলকে একজন থেকে তথা আদি পিতা হযরত আদম (আ.) থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং আদি পিতা হযরত আদম (আ.) - এর শান্তির জন্য তাঁর জীবন সঙ্গিনী হযরত হাওয়া (আ.) - কেও আদম (আ.) - এর বাম পাঁজরের হাড় থেকে আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন। এরপর আল্লাহ পাকের কুদরতে, তাঁর মর্জিতে পিতামাতার মাধ্যমে মানুষের বংশ বৃদ্ধি হতে থাকে।
আমরা তাফসীরে জালালাইন থেকে দেখতেই পাচ্ছি, মুসলিম নারীরা হলো মুসলিম পুরুষদের কাছে শুধুমাত্র সেক্সমেশিন বা ভোগ্যপণ্য বস্তু। ইসলাম নারীদের অধিকার বলতেই, পুরুষদের প্রতি মনোরঞ্জন বা শান্তি প্রদান করা। আর এটার কারনে মুসলিম নারীদের সৃষ্টি করা হয়েছে। এই আয়াত এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে হাদিসেও বলা হয়েছে,
"মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবন নুমায়র আল-হামদানী (রঃ)... আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) সূত্রে বর্নিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুনিয়া উপভোগের উপকরন (ভোগ্যপন্য) এবং দুনিয়ার উত্তম উপভোগ্য উপকরন পুন্যবতী নারী।" (সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), হাদিস নাম্বার ৩৫১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত)
উক্ত হাদিসে আমরা দেখতেই পাচ্ছি, মুসলিম নারীরা হলো শুধুমাত্র ভোগ্যপণ্য বস্তু। আর এই কারনে মুসলিম পুরুষেরা যখন ইচ্ছা তাদের স্ত্রীদের অনুমতি ব্যতীত ভোগ করতে পারবে এতে নারীদের সম্মতির কোনো প্রয়োজন পড়বে না। যদি কোনো মহিলা এতে অসম্মতি জানায় তাহলে ফেরেশতাগন তাদেরকে ভোর পর্যন্ত অভিশাপ দিতে থাকবেই। তার মানে বাধ্যগত ভাবে মুসলিম নারীদের যেভাবেই হোক না কেন তাদের যৌনক্রিয়ার আশ্বাস মিঠিয়ে মুসলিম পুরুষদের শান্তি দিতেই হবে। কেননা মুসলিম নারীদেরকেই পুরুষদের জন্য সেক্স মেশিন হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে, তার প্রমান আবারও নিচের দুইটা হাদিস এ দেখুনঃ
"আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্নিত। নবী (স) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি নিজ স্ত্রীকে তার সাথে বিছানায় ডাকে আর স্ত্রী আসতে অস্বীকার করে, তবে ভোর পর্যন্ত ফেরেশতাগন তাকে অভিসম্পাত করতে থাকে।" (সহীহ আল বুখারী, হাদিস নাম্বার ৪৮১১, আধুনিক প্রকাশনী)
"আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্নিত। নবী (স) বলেনঃ যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীর শয্যা ছেড়ে অন্যত্র রাত যাপন করে, তবে সে স্বামীর শয্যায় ফিরে না আসা পর্যন্ত ফেরেশতাগন তাকে অভিসম্পাত করতে থাকে।" (সহীহ আল বুখারী, হাদিস নাম্বার ৪৮১২, আধুনিক প্রকাশনী)
সুতরাং উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটাই স্পষ্ট যে, ইসলাম মতে নারী হচ্ছে ভোগ্যপণ্য বস্তু। আর এই কারনে মুমিনরা এখন মুসলিম নারীদের পাশাপাশি অমুসলিম নারীদেরকেও ছাড়তে পিছপা হয়না এরা ঠিক শিয়াল এর মত ফাঁক পেতে বসে থাকে কিভাবে হিন্দুমেয়েদেরকে ইসলাম সম্পর্কে মিথ্যা গল্প শুনিয়ে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে ভোগ করবে। তাই সনাতনী মেয়েরা নিজেকে এখন থেকে সচেতনতা করার চেষ্টা করুন, নয়তো আল্লার বিধানগুলো আপনাকে মেনে নিয়ে হতে হবেই ভোগ্যপণ্য বস্তুর সেক্সমেশিন, পরিনামে নির্যাতন এবং পরবর্তীতে মৃত্যু। যা অসংখ্য হাজার হাজার অনেক হিন্দু মেয়ে সেই পরিনাম এর ফল পাচ্ছে যা আমরা অনলাইন ফেসবুক, ইউটিউবে দেখতেই পাচ্ছি যারা ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়ে হতে হচ্ছে নির্যাতিত ও শেষে আত্মহত্যা।
আশা করি সবাইকে বুঝাতে পেরেছি।
❤জয় হোক সনাতনের❤
💔জয় শ্রীরাম💔
from:Arjun kumar Das

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন